আজকের ব্রেকিং নিউজ বাংলাদেশ – তাজা খবর – সবার আগে সর্বশেষ খবর – জাতীয়, আন্তর্জাতিক, বিনোদন, খেলাধুলার খবর। ভিজিট করুন…
ইউক্রেনের কাছেও ছিল পরমাণু অস্ত্র, ছেড়েছিল যে আশ্বাসে
স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তিকালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার না যুক্তরাজ্যের কাছে ছিল, না ফ্রান্স, না চীনের কাছে। এটি ছিল ইউক্রেনের ভূমিতে। সোভিয়েত পতনের পর সদ্য স্বাধীন ইউক্রেন প্রায় পাঁচ হাজার পারমাণবিক অস্ত্র পায়, যা মস্কো সেখানে জমা রেখেছিল। ওই সময় কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কাছে এর চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র ছিল।
সেই অস্ত্রগুলো ধ্বংস করে দেওয়াকে অনেক সময় নিরস্ত্রীকরণের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ইতিহাস বলে, ওই সময় ইউক্রেন-আমেরিকা উভয় দেশের বিশেজ্ঞরাই পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণের উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অনেকের মতে, বিধ্বংসী ওই অস্ত্রগুলোই রুশ আগ্রাসন ঠেকানোর একমাত্র নির্ভরযোগ্য উপায় ছিল।
ইউক্রেনের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রি জাহোরোদনিউকের কথায়, আমরা বিনা কারণে পরমাণু অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছি। এর বিনিময়ে পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাওয়া নিরাপত্তা গ্যারান্টি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন যখনই কেউ আমাদের কোনো কাগজে সই করতে বলে, তখন আমাদের প্রতিক্রিয়া হয়, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অনেক আগে আমরা এমন একটা কাজ করেছিলাম।
পশ্চিমা বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে ইউক্রেনের মধ্যে ফের পারমাণবিক অস্ত্রধর হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ইউক্রেন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মারিয়ানা বুডজেরিন বলেন, মূল কথা হলো, আমাদের কাছে অস্ত্র ছিল, সেগুলো ছেড়ে দিয়েছি এবং দেখুন, এখন কী হচ্ছে। তিনি বলেন, নীতিগত পর্যায়ে হয়তো ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য কোনো নড়চড় দেখছি না। তবে জনতার পর্যায়ে এটাই বাস্তব। ড. বুডজেরিনের মতে, অনুশোচনা এর একটি অংশ মাত্র। আরেকটি অংশ হলো, অন্যায়ের শিকার হলে কারও মনে যে ভাবনা আসে।
আজকের ব্রেকিং নিউজ বাংলাদেশ
স্বাধীনতার পর ইউক্রেন প্রথমেই তার ভূখণ্ড থেকে সোভিয়েত অস্ত্রগুলো সরাতে উদ্যত হয়। বোমা, আর্টিলারি শেল, ল্যান্ড মাইন ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো স্থানান্তর যেমন সহজ ছিল, তেমনি সেগুলো শত্রুভাবাপন্ন কারও হাতে পড়ারও ঝুঁকি ছিল। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সরানো ছিল কিছুটা কঠিন। কারণ এগুলোর কোনো কোনোটির ওজন ছিল ১০০ টন ও লম্বায় প্রায় ৯০ ফুট।
১৯৯২ সালের জানুয়ারি মাসে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মাসখানেক পরে ইউক্রেনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী সামরিক কমান্ডার ও অধঃস্তন সেনাদের নতুন দেশের প্রতি আনুগত্য স্বীকারের নির্দেশ দেন। এই পদক্ষেপে অবশিষ্ট অস্ত্রের ওপর সরকার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। তবে অনেকেই সেই আদেশ প্রত্যাখ্যান করেন এবং এতে ইউক্রেনের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের ভাগ্য ও এর অপারেশনাল অবস্থা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
পুরো নিউজ পড়ুন: https://www.jagonews24.com/international/news/741780
শেষ হলো ফায়ার সার্ভিসের আন্তঃবিভাগীয় প্রতিযোগিতা
দক্ষতা বাড়াতে আন্তঃবিভাগীয় পেশাগত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়।
নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মালটিপারপাস কমপ্লেক্স মাঠে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
অধিদপ্তরের পরিচালকসহ আটটি বিভাগ থেকে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার একটি একক ও একটি দলগত ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
পুরস্কার ছাড়াও তিনি তার পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রতিযোগীকে এক হাজার টাকা করে এবং চ্যাম্পিয়নদের দুই হাজার টাকা করে প্রাইজ মানি দেওয়ার ঘোষণা দেন।
পুরো নিউজ পড়ুন: https://www.jagonews24.com/national/news/741784
আজকের ব্রেকিং নিউজ বাংলাদেশ
হত্যার পর মায়ের মরদেহ পুড়িয়ে ফেললো ছেলে
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বৃদ্ধ আমেনা বেগমকে (৫৭) কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ভস্মীভূত করেছে ছেলে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতের কোনো এক সময় মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে মিলন হোসেন মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আশারকোটা গ্রামের ওয়াহেদ আলী পাটওয়ারী বাড়ি থেকে মিলনকে আটক করে পুলিশ। মিলন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
মৃত আমেনা বেগম ওই বাড়ির মৃত আকবর হোসেনের স্ত্রী। মিলন তাদের ছোট ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মিলন ২ বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। দু’বার তাকে ঢাকায় চিকিৎসা করানো হয়েছে। সম্প্রতি তাকে ঢাকা থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় মা আমেনার সঙ্গে মিলন নানার বাড়ি থেকে আসে। ঘরে তারা দু’জনই থাকে। রাতের কোনো এক সময় মিলন বৃদ্ধ মাকে কুপিয়ে কম্বল পেঁচিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। ফজরের আজানের সময় ঘর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে ঘরে ঢুকে দেখতে পায় বৃদ্ধ আমেনার দেহ আগুনে পুড়ছে। পা ও শরীরের কিছু হাড় ছাড়া বাকি অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুলিশ পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে।
পুরো নিউজ: https://www.jagonews24.com/country/news/741558
আজকের ব্রেকিং নিউজ বাংলাদেশ