ভারতীয় ভিসা প্রত্যাখান এর সম্ভাব্য কারন সমূহ জানুন – Indian visa Application BD

ভারতীয় ভিসা প্রত্যাখান এর কারন সমূহ জানুন – Indian visa Application BD

ভারতীয় ভিসা প্রত্যাখান এর সম্ভাব্য কারন সমূহ জানুন – Indian visa Application BD

জীবনের প্রয়োজনে আমরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকি। আর এ জন্যই প্রয়োজন হয় ভিসা ও এনডোর্সমেন্ট,এই ভিসা প্রসেসিং করতে গিয়ে ডকুমেন্টস জটিলতাই আমাদের বড় সমস্যা।

আমরা প্রায়ই ভারতে জরুরী কাজে বা ভ্রমন করতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকি যেমন-

  • ট্যুরিস্ট ভিসা
  • মেডিক্যাল ভিসা
  • ট্রানজিট ভিসা
  • ডাবল এন্ট্রি ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • জার্নালিস্ট ভিসা
  • এন্ট্রি ভিসা
  • রিসার্চ ভিসা
  • বিজনেস ভিসা
  • কনফারেন্স ভিসা
  • এমপ্লয়মেন্ট ভিসা

এই সব ভিসা আবেদন করার সময়ই যত ঝামেলা পোহাতে হয়,ও ঠিকঠাক মতো ডকুমেন্টস জমা না করলে বা ফাইলটি অসম্পন্ন জমা দিলে রিফিউজ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে-

আপনাদের আজকে জানাবো ভারতীয় ভিসা কেন রিফিউজ হয়?

ভারতীয় ভিসা প্রত্যাখান এর কারন সমূহ জানুন – Indian visa Application BD
ভারতীয় ভিসা প্রত্যাখান এর কারন সমূহ জানুন – Indian visa Application BD

ভারতীয় ভিসা প্রত্যাখান এর সম্ভবত কারন সমূহ

১। আবেদনকারীর ফর্মে কোন ভূল তথ্য পুরন করলে।

২। কোন ডকুমেন্টস জাল/নকল সংযুক্ত করলে।

৩। পাসপোর্ট এবং ভোটার আইডি বা জন্ম নিবন্ধনের সাথে গড়মিল থাকলে।

৪। ভিসা সেন্টারে আপনার ডকুমেন্টস জমা দেয়ার পরদিন যদি হাই কমিশন থেকে ফোন দেয়? আর আপনি যদি সঠিক তথ্য দিতে না পারেন তাহলে আপনার ভিসাটি রিফিউজ হয়ে যাবে।

৫। ভ্রমন ভিসা বা অন্য কোন ভিসা নিয়ে গিয়ে Over Stay করে ইলিগ্যাল ভাবে ফিরে আসলে।

৬। আবেদন পত্র এবং বিদুৎ বিলের ঠিকানা গড়মিল থাকলে।

৭। পুরোনো ছবি দিয়ে অথবা ২”× ২” ছবি ছাড়া আবেদন করলে।

৮। পাসপোর্টে ENTRY REFUSED/OFFLOAD সিল রিমুভ না করে আবেদন পত্র জমা করে দেয়া।

৯। পাসপোর্ট এর সাথে মিল না রেখে আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করে দেয়া।

১০। প্রফেশন প্রুফ NOC এবং ডলার এন্ড্রোসমেন্ট নকল দিলে।

১১। পাসপোর্ট এর ৪৩ নাম্বার পৃষ্ঠায় Applied সিল থাকা অবস্থায় আবেদন পত্র জমা করে দেয়া।

১২। পেশাগত তথ্য ভূল দিলে বা মনগড়া মতো ডকুমেন্টস দিলে।

১৩। ব্যাংক স্টেটমেন্ট গত ৬ মাসের না দেয়া বা

১৪। ব্যাংকে এন্ডিং ব্যালেন্স মিনিমাম ২০ হাজার টাকার কম দেখানো।

১৫। পাসপোর্টে অন্তত: দু’টি সাদা পাতা না থাকা।

১৬। আপনার পাসপোর্ট ৬ মাসের কম মেয়াদ থাকা অবস্থায় ভিসার জন্য আবেদন পত্র জমা করে দেয়া।

পুরোনো সকল পাসপোর্ট সংযুক্ত না করলে অথবা হারানো পাসপোর্ট এর লিগ্যাল ডকুমেন্টস জমা না দিলে। ইত্যাদি

আরো জানুন–

ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদন কি কি কাগজপত্র লাগে দেখে নিন  এখান থেকে: https://www.nittosongbad.com/bangladesh/indian-visa-application-bd-2022/

আপনি কোথায় যাবেন তার উপর নির্ভর করবে আপনি কোন পোর্ট দিয়ে যাবেন।

ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশনে আপনি যে পোর্ট ই পছন্দ করেন না কেন? আপনি চাইলে

বাংলাদেশের অংশে বেনাপোল আর ভারতের অংশে পেট্রাপোল দিয়ে আসতে যেতে পারবেন।

তাছাড়া বাংলাদেশী ভিসা আবেদনকারীদের জন্য ভারত সরকার এই ৩ টি পোর্ট ঊন্মক্ত করে দিয়েছেন ।

বাই বাস বেনাপোল-পেট্রাপোল

বাই রেল গেদে

বাই এয়ার।

আপনি আপনার ভিসাতে দেয়া পোর্ট এর বাহিরে আপনি এই ৩ টা পোর্ট আপনি বোনাস হিসেবে ব্যাবহার করতে পারবেন।

এই পোর্ট গুলো সকল ভিসা ক্যাটাগরি ট্রাভেলারদের জন্য এন্ট্রি-এক্সিট ঊন্মক্ত।

মনে রাখবেন আপনার আবেদনপত্র অবশ্যই ৭ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে। অন্যথায় আপনার আবেদন পত্রটি ৭ দিন পর আইভেক এর সার্ভার থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে মুছে যাবে,

আর হ্যাঁ অবশই ভিসা ফি পেমেন্ট করার আগে বার বার আবেদনপত্রটি পাসপোর্ট এর সাথে মিল রেখে চেক করে নিতে ভুলবেন না।

পরিশেষে একটি রিকোয়েস্ট রইলো

আপনার পাসপোর্ট একান্তই আপনার নাহ এটি একটি দেশ ও জাতির সন্মান বহন করে।

আপনি যখন বাংলাদেশ ছেড়ে অন্য দেশে যান, তখন আপনার মাধ্যমেই বাংলাদেশকে চিনে অন্য দেশের মানুষজন।

নিজেকে, নিজের দেশকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করুন। তাতে আপনার মর্যাদা বাড়বে, দেশের মর্যাদা বাড়বে। ধন্যবাদ

লেখক: Pinu Sarker

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top