eps.boesl.gov.bd দক্ষিন কোরিয়া জাহাজ শিল্পে ই৯ কর্মী নিয়োগ নিবন্ধন করুন ২০২৩

eps.boesl.gov.bd দক্ষিন কোরিয়া জাহাজ শিল্পে ই৯ কর্মী নিয়োগ নিবন্ধন করুন ২০২৩

eps.boesl.gov.bd দক্ষিন কোরিয়া জাহাজ শিল্পে ই৯ কর্মী নিয়োগ নিবন্ধন করুন ২০২৩

দক্ষিণ কোরিয়ার শিপিং শিল্পে E9 কর্মীদের নিয়োগের জন্য কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য HRD কোরিয়া অনলাইন নিবন্ধন প্রোগ্রামের সময়সূচী প্রকাশ করেছে। প্রার্থীদের শিপিং শিল্পে নির্ধারিত প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নিয়োগ ভাষা পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে, প্রস্তুতি শেষ হলে শিগগিরই এই পেজে বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হবে। তাছাড়া আগের মতোই আলাদাভাবে স্কিল টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কোরীয় ভাষা রেজিষ্টেশন বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুণ

অনলাইন ২৪ শে জুলাই রেজিষ্ট্রেশন করতে ক্লিক করুন এই লিংকে: http://eps.boesl.gov.bd/

দক্ষিন কোরিয়ায় সরকারি ভাবে জাহাজ শিল্পে কর্মী নিয়োগের সার্কুলার ঘোষণা করা হয়েছে HRD Korea এর ওয়েবসাইটে থেকে আপনি আবেদন করতে পারবেন। বোয়েসেল মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় ইপিএস ই৯ অনলাইন নিবন্ধন

প্রি- রেজিষ্ট্রেশন ২৪শে জুলাই পর্যন্ত।

পরীক্ষার তারিখ ঘোষণাঃ ১৪ ই আগষ্ট ২০২৩ ইংরেজি।

পরীক্ষা শুরু হবে ২১শে আগষ্ট ২০২৩ ইংরেজি থেকে ২৪ শে আগষ্ট ২০২৩ ইংরেজি পর্যন্ত।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি কর্মী। বাংলাদেশি কর্মীদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে পূর্ব এশিয়ার দেশটির শ্রমবাজার।

কর্মনিষ্ঠা, সততা ও নিয়মানুবর্তিতায় বাংলাদেশি শ্রমিকেরা এখন দেশটিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। যদিও দেশটির মোট শ্রমবাজারে বাংলাদেশের হিস্যা অতি সামান্যই। তবে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আকর্ষণীয় বেতন ও সুযোগ-সুবিধায় দক্ষিণ কোরিয়া এখন শ্রমবাজারে অন্যতম নাম।

২০২৩ সালের শুরু থেকে সপ্তাহে ১৫০ জন করে, বছরে ৭ হাজার ৫০০ বাংলাদেশির দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ আসছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন।

এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে অতিরিক্ত ১০০ কর্মী যোগ হবে বলেও জানান তিনি।

ফলে কোরিয়ার বিমান ধরবেন আরও প্রায় ৫ হাজার অতিরিক্ত কর্মী। এর বাইরে থাকবে মৌসুমি শ্রমিক পাঠানোরও সুযোগ।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে ২৪৮ বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় যান। যা এখন পর্যন্ত এক দিনে কোরিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশির মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যা।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত লি জানান, চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রায় ৫ হাজার ২০০ বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় যাবে।

১ নভেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মী গেছেন ৩ হাজার ৯৮৬ জন। যা ২০০৮ সালে কোরিয়ার এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, কোরিয়া ও বাংলাদেশ উভয় দেশেই করোনা পরিস্থিতির উন্নতির ফলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১১৩ জন কর্মী কোরিয়ায় গেছেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০২৩ সালে সাপ্তাহিক প্রায় ১৫০ বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের জন্য ইপিএস কোটা বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে। অনেক কোরিয়ান নিয়োগকর্তা বাংলাদেশি কর্মীদের পরিশ্রম এবং বিশ্বস্ততার প্রতি সন্তুষ্ট।

ঢাকার ইপিএস সেন্টারের কিম ডং-চ্যান জানান, কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশি নারী কর্মীরাও কোরিয়ায় ইপিএসের মাধ্যমে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

‘কোরিয়ার কারখানায় মহিলা ও পুরুষ কর্মীরা একই স্তরের বেতন পেয়ে থাকেন। সেপ্টেম্বরে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ২০ হাজার কর্মীর জন্য কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষা ২০২৩ সালের জানুয়ারির শেষে শুরু হবে।’

অন্যদিকে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) জানায়, চলতি বছরের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ হাজার ৯৪১ জন কর্মী পাঠিয়ে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী বোয়েসেলের মাধ্যমে ২০০৮ সাল থেকে ইপিএস কর্মসূচির আওতায় জি টু জি পদ্ধতিতে স্বল্প ব্যয়ে, কিন্তু উচ্চ বেতনে শিল্প খাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী যাচ্ছে।

দূতাবাস জানায়, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ইপিএসের আওতায় নির্ধারিত ১৬টি দেশ থেকে কোরীয় ভাষা দক্ষতা ও স্কিল টেস্টের মাধ্যমে অদক্ষ কর্মীকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে থাকে।

বৈশ্বিক কোভিড অতিমারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার মার্চ ২০২০ থেকে নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ১৬টি দেশ থেকে ইপিএস কর্মীদের কোরিয়ায় যাওয়া বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশে কোভিড পরিস্থতির উল্লেখযোগ্য উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত কোভিড বিধি অনুসরণ করে গত ডিসেম্বরে ১১১ জন কর্মীর চার্টার্ড ফ্লাইটে দক্ষিণ কোরিয়া যান। যার মাধ্যমে আবারও শুরু হয় দেশটিতে কর্মী নেয়া।

২০২২ সালের প্রথম ধাপে বার্ষিক কোটা নির্ধারণ ছিল ১ হাজার ৯৪১ জন। এইচআরডি কোরিয়ার চাহিদা মোতাবেক কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক ইপিএস কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানোর পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের জন্য দুই ধাপে আরও অতিরিক্ত ৩ হাজার কর্মসংস্থান কোটা নির্ধারণ করে। যা ইপিএসের ইতিহাসে বাংলাদেশের জন্য রেকর্ড।

২০১০ সালে ইপিএসের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় গিয়েছিলেন। সেবার সংখ্যাটি ছিল ২ হাজার ৬৯১ জন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top