শাকিব খান biography – Height & Life Story – জানা অজানা।। শাকিব খান হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, গায়ক, চলচ্চিত্র সংগঠক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। তার জন্ম ২৮ মার্চ ১৯৭৯। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি গণমাধ্যমে “সুপারস্টার”, “কিং খান” ও “ঢালিউড কিং” হিসাবে সম্বোধিত হন। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা।
শাকিব তার কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনটি বাচসাস পুরস্কার ও চারটি সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার। তিনি ২০১০ সালের ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না, ২০১২ সালের খোদার পরে মা, ২০১৫ সালের আরো ভালোবাসবো তোমায় এবং ২০১৭ সালের সত্তা চলচ্চিত্রের জন্য চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
প্রাথমিক জীবন
শাকিব খান ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদীতে মাসুদ রানা হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন। খানের আদি নিবাস গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায়। তার বাবা আব্দুর রব ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারী এবং মাতা নূরজাহান একজন গৃহিণী। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হলেন এক বোন ও এক ভাই। বাবার চাকরির সুবাদে তার শৈশব কৈশোর থেকে বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জ জেলায়।[
শাকিব খান তার ইচ্ছে প্রসঙ্গে বলেন,
“ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার (প্রকৌশলী) হব। কারণ আমি সাইন্সের (বিজ্ঞানের) ছাত্র ছিলাম। সবসময় বুকে লালন করতাম ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করব। এর বাইরে যে অপশনটি (বিকল্পটি) আমার মধ্যে কাজ করত তা হলো ইঞ্জিনিয়ার (প্রকৌশলী) হওয়া। খুব পছন্দ ছিল এই পেশাটিও। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করার পর হঠাৎ করেই যেন ছোটবেলার স্বপ্নগুলো হারিয়ে যেতে থাকল।
অভিনীত চলচ্চিত্র
তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল নাট্যধর্মী সুভা (২০০৬), প্রণয়ধর্মী আমার প্রাণের স্বামী (২০০৭), প্রিয়া আমার প্রিয়া (২০০৮), ও বলবো কথা বাসর ঘরে (২০০৯), প্রণয়ধর্মী-হাস্যরসাত্মক আদরের জামাই (২০১১), মারপিট-প্রণয়ধর্মী ডন নাম্বার ওয়ান (২০১২), প্রণয়ধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী (২০১৩), মারপিট-থ্রিলারধর্মীশিকারি (২০১৬), নবাব (২০১৭), নাট্যধর্মী রাজনীতি (২০১৭), সত্তা (২০১৭) ও প্রণয়ধর্মী-হাস্যরসাত্মক চালবাজ (২০১৮), ভাইজান এলো রে(২০১৮), নাকাব(২০১৮)। ২০১১ সালে মনের জ্বালা চলচ্চিত্রে তিনি প্রথমবারে মতো তিনি নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে গানে কন্ঠ দেন। ২০১৪ সালে তিনি হিরো: দ্যা সুপার স্টার চলচ্চিত্র দিয়ে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং পরবর্তীকালে পাসওয়ার্ড (২০১৯), বীর (২০২০)।
শাকিব খানের পুরষ্কারসমুহঃ
মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কার
মনোনয়ন:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০০৬
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০০৭
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০০৮
মনোনয়ন:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০০৯
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০১০
সি জে এফ বি পুরষ্কার
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০০৮
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০০৯
ওয়ালটন বৈশাখী স্টার অ্যাওয়ার্ড
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০১১
লাক্স চ্যানেল আই পারফর্মেন্স পূরস্কার
মনোনয়ন:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০০৬ (সমালোচক)
মনোনয়ন:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০০৬
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০০৮
বি সি আর এ পুরষ্কার
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০০৯
বিশেষ পুরষ্কার
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০০৮
একতা পুরস্কার
মনোনয়ন:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০০৫
ঢালিউড চলচ্চিত্র ও সঙ্গীত পূরস্কার
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০০৯
বিনোদন বিচিত্রা পুরস্কার
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ‘ ২০১০
যেভাবে চলচ্চিত্রে এসেছিলেন শাকিব খান
আমাদের একটা কমন সমস্যা হচ্ছে নিজেদের অতীত ভুলে যাওয়া, একটু বিখ্যাত হলেই নিজের মাঝে একটা ‘মুই কি হনু রে’ ভাব নিয়া আসা!
জেমস ক্যামেরুন এর স্বীকার করতে কোন সমস্যা হয়নি যে তিনি এক সময় ট্রাক ড্রাইভার ছিলেন, আরিফিন শুভর বলতে অসুবিধা হয়না তিনি তার গ্রামের বন্ধুর কাছ থেকে ১৫৬ টাকা ধার নিয়ে মডেলিং করতে এই ঢাকাতে আসেন এবং বন্ধুর মেসে থাকতেন।
শাহরুখ খানের এটা বলতে কোন সমস্যা নেই যে তিনি মুম্বাইতে এসে পার্কের বেঞ্চে ঘুমাতেন আর বন্ধুর কাছ থেকে ২০ টাকা ধার করে ফিল্ম সিটিতে শুটিং দেখতে যেতেন। রজনীকান্তের এটা বলতে সমস্যা হয় না যে তিনি একজন বাসের হেলপার ছিলেন। ঢাকায় কনসার্ট এ এসে সাড়ে ২৬ হাজার লোকের সামনে লাইভ অনুষ্ঠানে অক্ষয় কুমারের স্বীকার করতে কোন দুঃখ হয়না যে তিনি এই বাংলাদেশের পুরবানি হোটেলের শেফ ছিলেন।
যত সমস্যা আমাদের শাকিব খানের। তিনি বলেন যে, একবার এফডিসিতে শুটিং দেখতে গেলে এক সাংবাদিক তাকে ‘আরে তুমি তো অনেক সুন্দর’ বলে ছবি তুলতে শুরু করেন। এরপর এই ছবি এক পরিচালকের হাতে যায় আর তিনি ছবিতে চান্স পেয়ে যান! এত সোজা হলেতো যাদের চেহারা একটু ভালো সেই নায়ক হয়ে যেতো!
আসল কাহিনী হল নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজা শাকিবকে এই মিডিয়ার দুনিয়ায় নিয়ে আসেন। শাকিবের জন্য এমন কিছু নেই যা তিনি করেননি। আগে শাকিবের স্বাস্থ্য খারাপ ছিল। সে যাতে একটু স্বাস্থ্যবান হয়ে দেখতে সুন্দর হয় এজন্য আজিজ এক
রেস্টুরেন্ট ভাড়া করেন। যেখানে বলা ছিল- শাকিব যখন ইচ্ছা এসে যা ইচ্ছা খাবে, বিল সব আমি দিব।
অথচ এই শাকিব এখন আজিজ রেজাকে চেনেন না। এমনকি আজিজের বাবা মারা যাওয়ার দিন আজিজের বাসা থেকে মাত্র দশ মিনিটের দূরত্বে শাকিব শুটিং করছিলেন। অথচ খবর পাওয়ার পরেও তিনি আজিজের বাবার জানাজায় আসেননি।
বাকি সবার সাথে শাকিবের পার্থক্য এখানেই। তিনি সম্ভবত একমাত্র নায়ক, যিনি নিজেকে এক নাম্বার বলে নিজের নামে ছবি বানান ‘নাম্বার ওয়ান শাকিব খান’। কিন্তু অন্যদের এটা করতে হয় না, কারণ তারা তাদের অতীত, তাদের সংগ্রামের কথা ভোলেন না। এজন্য রজনীকান্ত ইজ রজনীকান্ত। আর গুগলে নাম্বার ওয়ান পপুলার স্টার অন দা আর্থ লিখলে শাহরুখ এর নাম আসে।
আমি শাকিবকে কোন দোষ দেইনা, কিন্তু যেই মানুষ তার অতীত ভুলে যায় তার ফল কিন্তু ভাল হয়না।
ব্যক্তিগত জীবন
শাকিব খানের প্রাক্তন স্ত্রী অপু বিশ্বাস।
শাকিব খান ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল তার গুলশানের বাড়িতে তার সর্বাধিক চলচ্চিত্রের সহশিল্পী অপু বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমে গোপন রাখা হয়। পরে ২০১৭ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বিয়ের করার কথা অপু বিশ্বাস জানান। বিয়ের পর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। যার নাম রাখা হয় আব্রাম খান জয়।
২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর শাকিব খান তালাকের জন্য আবেদন করেন এবং ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এই দম্পতির তালাক সম্পন্ন হয়।
শাকিব খান ক্রিকেট খেলার ভক্ত। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ভক্ত ও বন্ধু।
চিত্রনায়ক শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করছেন। অভিনয়শিল্পী হিসেবে ইবি ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তিনি। ২০২০ সালে একটি দক্ষ এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তার নাগরিকত্ব লাভের বিষয়টি দেখাশোনা করছে আমেরিকাপ্রবাসী এক নেপালি উকিল।
২০১৯: শাপলা মিডিয়া কর্তৃক আইনি নোটিশ
২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর একটু প্রেম দরকার (বর্তমানে বিদ্রোহী নামেও পরিচিত) শিরোনামের একটি চলচ্চিত্রের কাজ সময়মতো শেষ না করায় খানের নিকট আইনি নোটিশ পাঠায় চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া। নোটিশটি খানকে পাঠানোর পাশাপাশি এর অনুলিপি তথ্য মন্ত্রণালয়, সচিবালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশক, পরিচালক ও শিল্পী সমিতি বরাবরেও পাঠানো হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমি অবশ্যই ছবির বাকি কাজ শেষ করবো। তার জন্য কয়েকদিন সময়ও রেখেছি। আমি কোনো অভিযোগপত্র পাইনি। এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চাইছি না।
২০১৯: রাজউক কর্তৃক জরিমানা
২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর ঢাকার গুনশান নিকেতনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নকশা না মেনে একটি বাড়ির অবৈধভাবে বর্ধিত অংশ নির্মাণ করায় রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত শাকিব খানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
২০২০: গানের অধিকার ইস্যু
২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পাসওয়ার্ড চলচ্চিত্রে “পাগল মন” শিরোনামের একটি গানের প্রথম দুই পঙ্ক্তি বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করায় ২০২০ সালের ২৯ জুন শাকিব খান ও মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেডের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গানটির মূল কণ্ঠশিল্পী দিলরুবা খান। এর আগে ২৮ জুন একই অভিযোগে শাকিব খানের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দিলরুবা খান।
গান গাওয়া
২০১১ সালে মালেক আফসারী পরিচালিত ‘মনের জ্বালা’ ছবিতে প্রথম মাইক্রোফোনের পেছনে দাঁড়ান শাকিব খান। ‘আমি চোখ তুলে লাকালে সূর্য লুকায়’ গানটির সুরকার ছিলেন আলী আকরাম শুভ।
প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
২০১০ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শাকিব খান। ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ তাকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মান এনে দেয়।
শিল্পী সমিতির সভাপতি
২০১২ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াই করেন শাকিব খান। জয়লাভও করেন। পরপর দুবার সমিতির নেতৃত্ব দেন। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সরাসরি নির্বাচন করেননি। একটি প্যানেলকে সমর্থন দিয়ে মাঠ গরম করেছেন।
একমাত্র সিক্যুয়েল
শাকিব খানের ক্যারিয়ারের একমাত্র সিক্যুয়েল ছবি ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’। ২০১৩ সালে একটি এবং ২০১৬ সালে আরেকটি ছবি তৈরি হয় ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’র নামে। দুটোতেই নায়িকা ছিলেন জয়া আহসান।
নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ খেলা
২০১৭ তে চলচ্চিত্র পরিবার নিষিদ্ধ করে শাকিব খানকে। যা দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছিল।
তবে এর আগেও ২০১০ সালে শিডিউল ফাঁসানোয় নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শাকিব খান ও তার সহশিল্পী অপু বিশ্বাস। সেই নিষোধাজ্ঞা যদিও খুব অল্প সময়ের মধ্যে উঠিয়ে নেয়া হয়। এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনের রাতে শাকিব খানের ওপর হামলা করা হয়। তিনিও নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেন তেজগাঁও থানায়। আর পাল্টাপাল্টি বক্তব্যেও ছিল তার সরব অংশগ্রহণ। যার রেশ এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
প্রথম হিট
ক্যারিয়ারে প্রথম হিটের স্বাদ পান দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘বিষে ভরা নাগিন’র কারণে। ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মুনমুন। মুনমুনের সঙ্গেও শাকিব খানের এটাই প্রথম কাজ।
সবচেয়ে বাজে দিন
অবন্তী বিশ্বাস অপু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে অপু ইসলাম খান নাম নিয়ে শাকিব খানকে বিয়ে করেন। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় শাকিব-অপুর সন্তান আব্রাম খান জয়ের জন্ম হয়। এই তথ্যগুলো বোমার মতোই দেশজুড়ে ফাটে। আরো কিছু অভিযোগে শাকিব খানকে জর্জরিত করে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভে আসেন অপু বিশ্বাস। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল দিনটিকে জীবনের সবচেয়ে বাজে দিন বলে মন্তব্য করেছিলেন শাকিব খান।
শুভশ্রীর সঙ্গে প্রথম
কলকাতার নায়িকা শুভশ্রীর বিপরীতে শাকিব খানের প্রথম ছবি ‘নবাব’ গত বছরের ঈদে মুক্তি পায়। ছবিটি মারমার কাট কাট ব্যবসা করেছে। সাফল্যে উৎসাহিত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘চালবাজ’ নামে আরো একটি ছবি বানিয়েছে এই জুটিকে নিয়ে।
মাকে নিয়ে শাকিব খান
সিনেমায় মারা গিয়েছিলাম দেখে মার কান্না থামছিল না: শাকিব
ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের সিনেমা ক্যারিয়ারের শুরুর দিকটা সহজ ছিলো। শাকিব খানের বাবা আব্দুর রব চাইতেনা না ছেলে সিনেমার নায়ক হোক। তবে এই ক্ষেত্রে মা রেজেয়া বেগম ছিলেন ছেলেন পক্ষে। তিনিই ছেলে বাবাকে রাজি করেছিলেন; আর সে জন্যই সিনেমায় নাম লেখাতে পারেছিলেন শাকিব। শুধু নামই লেখাননি বেশ দীর্ঘ সময় ধরে জায়গা দখল করে আছেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়কের।
মা দিবসে নিজের মায়ের প্রসঙ্গে এক মজার গল্পে শাকিব জানালেন, ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’ সিনেমাটা দেখেছিলেন আমার মা। সিনেমায় আমি মারা গিয়েছিলাম।সিনেমায় মারা গিয়েছিলাম দেখে মার কান্না থামছিল না। আমি তখন রাঙ্গামাটিতে অন্য একটি সিনেমার শুটিং করছি। সেখান থেকে ফোন করে আমার মায়ের কান্না থামাতে হয়েছিলো।
এছাড়া শাকিব খানের কাছে মায়ের হাতের খাবারের কোন তুলনা নেই। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকার মধ্যে শুটিং হলে মা রান্না করে পাঠায়। ঢাকার শুটিংয়ের সময় তিনি বাইরের খাবার খান না।
শাকিব খান ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘধীতে জন্মগ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি
২০১৮ সালে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল শাকিব খানের। ২০১৮ সালের ১০ নভেম্বর তিনি জানান যে, ১১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনবেন।
যদিও এদিন রাতেই তিনি তার সিদ্ধান্ত বদল করেন এবং জানান যে, তিনি নির্বাচন করছেন না। তিনি বলেন, “সিনেমা ছেড়ে এখনই আমার অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত হওয়া ঠিক হচ্ছে না। সিনেমায় থেকেও দেশের সেবা করা সম্ভব। তাই ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলাম।
এরপর তিনি একই নির্বাচনে একটি ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট চান। ১ মিনিটের ঐ ভিডিও বার্তায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাকে ‘মমতাময়ী মা’ ও উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন শাকিব খান।
শাকিব খান biography
প্রতারণা ও মানহানির মামলা
২০১৭ সালে রাজনীতি চলচ্চিত্রের একটি সংলাপে বাংলাদেশের হবিগঞ্জের ইজাজুল মিয়া নামের এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করায় খানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেন ইজাজুল মিয়া। একই মামলায় রাজনীতি চলচ্চিত্রের পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস, প্রযোজক আশফাক আহমেদকেও অভিযুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর হবিগঞ্জের একটি আদালতে মামলাটি করেন অটোরিকশা চালক ইজাজুল মিয়া।
ইজাজুল মিয়া মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘রাজনীতি’ সিনেমার একটি অংশে (সিনেমার ২৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডর সময়) সংলাপ দিতে গিয়ে নায়িকা অপু বিশ্বাস বলেন, ‘এভাবে বারবার আর কোনো দিন চলে যেতে দেব না আমার স্বপ্নের রাজকুমার।’ জবাবে নায়ক শাকিব খান বলেন, ‘আমিও তোমাকে আর ছেড়ে যাব না আমার রাজকুমারী।’ অপু বিশ্বাস আবার বলেন, ‘আমার ফেসবুক আইডি যে “রাজকুমারী” তুমি তা জানলে কী করে?’ জবাবে শাকিব খান বলেন, ‘যেভাবে তুমি জানো, আমার মোবাইল নম্বর…।’
মামলার ব্যাপারে খান বলেন, ‘‘একজন শিল্পী হিসেবে আমি শুধু আমার সংলাপ বলেছি। সেটা কার মোবাইল ফোনের নম্বর, নম্বরটা সঠিক কি না, এটা আমার দেখার বিষয় নয়। তা আমার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এটা আসলে ছবির প্রযোজক, পরিচালক আর স্ক্রিপ্ট রাইটারের ব্যাপার। এটা তাঁদের ওপর বর্তায়। আমার জায়গায় যদি অন্য কোনো হিরোর মুখ দিয়ে সংলাপটা যেত, তার তো কিছু করার ছিল না।
আরো বায়োগ্রাফি পড়ুন: