পুরোনো মামলায় আতঙ্ক বাড়ছে বিএনপিতে

পুরোনো মামলায় আতঙ্ক বাড়ছে  বিএনপিতে

পুরোনো মামলায় আতঙ্ক বাড়ছে  বিএনপিতে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাংগঠনিকভাবে চাঙা হওয়ার চেষ্টা করছে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিও পুনর্গঠন করছে তারা। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে যখন বৃহৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি, তখনই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পুরোনো মামলা নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জ্যেষ্ঠ থেকে কনিষ্ঠ- দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়মিত হাজিরা দিতে হচ্ছে আদালতে। তবে নেতাকর্মীদের দাবি, এভাবে হয়রানি করেও লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করা যাবে না জাতীয়তাবাদী শক্তিকে।

সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বেশ পুরোনো মামলা সচল হয়েছে। নয় বছর আগের অগ্নিসংযোগের এক মামলায় রাজধানীর মুগদার সাত বিএনপি কর্মীর দুই বছর করে সাজা হয়েছে। এক মামলায় আটক হয়ে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দলের নবীন নেতা ইশরাক হোসেন।

মামলার কারণে কতটা চাপ অনুভব করছেন- জানতে ইসহাক সরকার এবং নিপুণ রায় চৌধুরী দুজনই একই কথা বলেন। তারা জানান, চাপে রাখার জন্য এ ধরনের হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলার বাইরে প্রশাসনের চাপ, ক্ষমতাসীন নেতাকর্মীদের চাপ রয়েছে। রাজনৈতিক আদর্শ যদি ঠিক থাকে, দলের প্রতি যদি অনুগত থাকা যায় তাহলেই চাপ আর চাপ মনে হয় না। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সবসময়ই প্রস্তুত থাকি।

বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পদে আলোচনায় থাকা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ ২২ মামলার আসামি।

এই বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি পরিহার করে যখন থেকে ফ্যাসিজম চর্চা করছে, বিশেষ করে গত ১৪ বছর হামলা-মামলার মাধ্যমে বিএনপির গণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে অগণতান্ত্রিকভাবে দমন করে নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে সফল না হয়ে আগামী নির্বাচন ঘিরে তারা অনেক চক্রান্ত শুরু করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো সুনির্দিষ্টভাবে সাক্ষী না থাকা ভিত্তিহীন পুরোনো হয়রানিমূলক মামলাগুলোতে সাজা দিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের এবং আগামী প্রজন্মের নেতাদের নির্বাচনের বাইরে রাখার হীন প্রচেষ্টা। আমরা এতে ভীত নই। আমরা রাজনৈতিকভাবে এবং আইনগতভাবে এসব মোকাবিলা করবো। সর্বোপরি জনগণের আদালতে বিজয় সুনিশ্চিত।

বিএনপির দপ্তর সূত্র জানায়, দলটির ৩৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১ লাখ ১০ হাজার মামলা রয়েছে।

তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top