Online Birth Certificate Registration

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে ফেলুন ঘরে বসেই bdris.gov.bd

অনলাইনে কীভাবে জন্ম নিবন্ধন এর আবেদন করবেন এবং হাতে পাবেন?

শিশুর জন্মের পর সরকারি খাতায় তার নাম লেখানো হলো জন্ম নিবন্ধন। নবজাতকের একটি নাম ও একটি জাতীয়তা নিশ্চিত করার প্রথম ধাপ এটি। আইন অনুযায়ী শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

জন্ম নিবন্ধন কোথা থেকে করাবেন করবেন?

ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এবং সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ওয়ার্ড সমূহের কমিশনার এর কার্যালয় থেকে জন্ম নিবন্ধন করা যায়।

অনলাইনে কীভাবে জন্ম নিবন্ধন করাবেন?

জন্ম নিবন্ধনের নির্ধারিত আবেদন ফরমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে আবেদন করার লিংক br.lgd.gov.bd . অনলাইনে আবেদনের বিস্তারিত নিয়মাবলী জানতে এই লিংকে ভিজিট করুন:https://www.nittosongbad.com/latest/জন্ম-নিবন্ধন-আবেদন-করার-ন/

পাঁচ বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করতে তথ্য সংগ্রহকারীর প্রত্যয়ন অথবা শিশুকে টিকা দেয়ার সময় ইপিআই কার্ডের সত্যায়িত অনুলিপি অথবা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া জন্মসংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত অনুলিপি প্রয়োজন।

এছাড়া পাঁচ বছর পরে নিবন্ধন করতে হলে বয়স প্রমাণ, স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা, দলিল লাগবে। বয়স ও জন্মস্থান প্রমাণের জন্য ইপিআই কার্ড (টিকাদান কার্ড) বা পাসপোর্ট বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা কোন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্মসংক্রান্ত ছাড়পত্র বা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত জন্মসংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত অনুলিপি লাগবে।

জন্মনিবন্ধন ফি

জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করতে কোনো ফি দিতে হবে না। তবে ৪৫ দিন পর থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে নিবন্ধন করতে ২৫ টাকা লাগবে। এছাড়া পাঁচ বছর পর নিবন্ধন করতে ফি দিতে হবে ৫০ টাকা। সেই সঙ্গে যদি কেউ নিবন্ধনে জন্মতারিখ সংশোধন করতে চায়, সেক্ষেত্রে আবেদন ফি ১০০ টাকা। তবে জন্মতারিখ ছাড়া নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা সংশোধন করতে ফি ৫০ টাকা।

এছাড়া বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের কপি পেতে কোনো টাকা লাগবে না। তবে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদের নকল সরবরাহ পেতে লাগবে ৫০ টাকা।

প্রবাসীরা দূতাবাসে এই জন্ম নিবন্ধন এবং জন্ম নিবন্ধন কারেকশন করতে পারবেন।

১৭ ডিজিটের কম জন্ম নিবন্ধন নম্বর কিভাবে ১৭ ডিজিটে উন্নীত করা যাবে?

১৭ ডিজিটের কম জন্ম নিবন্ধন নম্বর হলে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয়ে পুরাতন সনদটি জমা প্রদান করে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন  নম্বর সম্বলিত সনদ নেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে নাগরিকের বাক্তিগত   সক্রিয় মোবাইল নম্বরটি  প্রদান করতে হবে।

পূর্বে নিবন্ধন না হয়ে থাকলে বিবাহিত নারীর জন্ম নিবন্ধন স্বামীর বাড়ির ঠিকানায় করা এবং সনদে স্বামীর নাম লিখা যাবে কি?

পূর্বে নিবন্ধন না হয়ে থাকলে আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী বিবাহিত নারীর বিলম্বিত জন্ম নিবন্ধন স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় করা যাবে। তিনি চাইলে তার জন্ম স্থানের ঠিকানায়ও নিবন্ধন করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে, স্বামীর নাম লেখার কোন সুযোগ নাই।

নিবন্ধনাধীন ব্যক্তিকে কি বাংলা ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদ দিতে হবে?

হ্যাঁ! বাধ্যতামূলকভাবে  উভয় ভাষায় সনদ দিতে হবে।

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বা তথ্য সংশোধন সংক্রান্ত আবেদনের সময় নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা তার পিতা-মাতা-অভিভাবক  ছাড়া অন্য কারও মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে কি?

যেহেতু বিষয়টি ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট, সেহেতু এ ক্ষেত্রে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা তার পিতা-মাতা-অভিভাবকের  মোবাইল ফোন নম্বরই দিতে হবে। এর সঙ্গে এদের কারও ইমেইল নম্বব (যদি থাকে) দিলে তা আরও সুবিধাজনক হবে।পরিবারের  সদস্য সংখ্যা ৫ জন হতে পারে এমন ধারণা থেকে সফ্টওয়্যারে একটি মোবাইল ফোন নম্বর পরিবারের সর্বোচ্চ ৫ জন সদস্যের ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোন ফোন নম্বর ৫-এর অধিক সংখ্যক নিবন্ধনে ব্যবহার করলে পরবর্তী সময়ে সেসকল নিবন্ধনের কোন সন্ধান পাওয়া যাবে না।

জমজ সন্তানের জন্ম নিবন্ধন কীভাবে করা হবে?

 জমজ সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রথমে একের পর এক আবেদন করে অনলাইনে সাবমিট করতে হবে তারপর যথাযথ নিয়মে নিবন্ধন করতে হবে । (একটি নিবন্ধন সম্পূর্ণভাবে সমাপ্ত করে অপর আবেদনটি অনলাইনে সাবমিট করতে গেলে সমস্যা হবে।)

জন্মনিবন্ধন কী কাজে লাগে :

২০০৯ সাল থেকে ১৬টি মৌলিক সেবা পেতে জন্মসনদ প্রয়োজন হয়। বয়স প্রমাণের জন্য জন্মনিবন্ধনের সনদ বা এর সত্যায়িত ফটোকপি ব্যবহার করতে হয়। পাসপোর্ট, বিবাহ নিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, সরকারি ও বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় নিয়োগদান, গাড়ি চালানোর লাইসেন্স, ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ বিভিন্ন সরকারি কাজে জন্মনিবন্ধন প্রয়োজন। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক হিসাব খোলা, সংযোগ (গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ), ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বরসহ (টিআইএন) বিভিন্ন কাজে সরকারি অনুমোদন পেতে অবশ্যই নিবন্ধন লাগবে।

পাসপোর্ট করার নিয়মক্লিক করুন

এনআইডি করার নিয়ম: ক্লিক করুন

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করার নিয়ম : ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top