বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কারা এই কুকি চিন তাদের পরিকল্পনা কী Kuki-Chin National Front

বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কারা এই কুকি চিন তাদের পরিকল্পনা কী  Kuki-Chin National Front

বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কারা এই কুকি চিন তাদের পরিকল্পনা কী  Kuki-Chin National Front

কুকি চিনের পরিকল্পনা কী, কোথা থেকে আসে টাকা

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট সংক্ষেপে ‘কেএনএফ’ নামে পরিচিত। রাঙ্গামাটির সাজেকের বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বান্দরবানের উপকণ্ঠ থেকে চিম্বুক পাহাড়ের ম্রো অঞ্চল হয়ে রুমা রোয়াংছড়ি, থানছি, লামা ও আলীকদম— এই ৯টি উপজেলা নিয়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত একটি পৃথক রাজ্য সৃষ্টি করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। তাদের দাবি, পার্বত্য চট্টগ্রামের পৃথক পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন। কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের উত্থানের পেছনে রয়েছে সেখানকার বম সম্প্রদায়। আর সেই বম সম্প্রদায়ের নেতা নাথান বম হলেন এই সংগঠনের প্রধান।  নাথান বমই এনজিও’র নামে বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করে আসছেন। এছাড়া, জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং শেল্টার দেওয়ার জন্য তাদের কাছ থেকে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। নিজেদের সংগঠনের শক্তিমত্তা জানান দিতেই সংগঠনটি শুরু থেকেই প্রকাশ্যে কাজ করে আসছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র বলছে, কুকি চিন জাতীয় ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) এনজিও’র আড়ালে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহ করেছেন নাথান। এছাড়া পাশের দেশ ভারতের মিজোরাম এবং মিয়ানমার থেকে তাদের কাছে অস্ত্র আসতো। সেই অস্ত্র চড়া দামে পাহাড়ে অবস্থান করা নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের কাছে বিক্রি করতো। এছাড়া এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং থাকা খাওয়া বাবদ ২০২১ সালের শুরু থেকে মাসিক হারে তিন থেকে চার লাখ টাকা নিয়েছে কেএনএফের সদস্যরা। আর্থিক সহায়তা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই কুকি চিন রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য সশস্ত্র আন্দোলনের পরিকল্পনা করে তারা।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ২০০৮ সালে কেএনএফ-এর জন্ম হলেও ২০১৬ সালে সংগঠনটি সশস্ত্র গ্রুপ তৈরি করে। শুরুতে এর নাম ছিল কুকি চিন ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স কেএনভি। বর্তমানে এই সশস্ত্র সংগঠনের নাম কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)। প্রথম দিকে তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে ভারতের মনিপুর ও বার্মার ‘চীন রাজ্যের’ সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রথম ব্যাচে শতাধিক সদস্যকে মনিপুরে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়। এরপর ১০০ জনকে ভারতের মনিপুর, বার্মার কারেন ও কাচিন রাজ্যে গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য পাঠায়। ২০১৯ সালে প্রশিক্ষণ শেষে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের ফিরে আসে‌। শুরুতে তারা নীরব থাকে। কিছু দিন পর তারা সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের কাছে রয়েছে ভয়ংকর সব স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top