ভারতের চিতা ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ক্রাশ

গত শুক্রবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্বু ও কাশ্মীরের গুরেজ সেক্টরে বারাউম এলাকায় ভারতের সেনাবাহিনীর একটি চিতা ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ক্রাশ করেছে। এই হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় একজন পাইলট মারা গেছেন এবং অন্যজন মারাত্বকভাবে আহত হয়েছেন।

ঠিক কি কারণে ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি এইচএএল চিতা ইউটিলিটি হেলিকপ্টারটি ক্রাস করেছে তা জানা না গেলেও এটি কারিগরি ত্রুটিজনিত কারণে ধ্বংস হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বর্তমানে ভারতের সেনা ও বিমান বাহিনীতে প্রায় শতাধিক সিঙ্গেল ইঞ্জিনের এই চিতা সিরিজের লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার অপারেশনাল রয়েছে। তবে বিগত কয়েক বছরে ৩২টি এই টাইপের হেলিকপ্টার নন কমব্যাট মিশনে আকাশে ধ্বংস বা ক্রাস করেছে। তাছাড়া এই হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট প্রায় ৪০-৫০ জন পাইলট ও অফিসার মৃত্যুবরণ করেছেন।

ভারতের সেনাবাহিনীর দেয়া তথ্যমতে, সিঙ্গেল ইঞ্জিন চালিত এইচএল চিতা ইউটিলিটি হেলিকপ্টার বহরের ৮০% তার ৩০ বছরের সার্ভিস লাইফ টাইম অনেক আগেই শেষ করেছে এবং অবশিষ্ট থাকা এই টাইপের হেলিকপ্টার চলতি ২০২২ সালে এসে ৫০ বছর অতিক্রম করবে।

তাই বুঝাই যাচ্ছে যে, এই জাতীয় চিতা সিরিজের লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার দেশটির সামরিক বাহিনীর জন্য একটি মৃত্যুফাঁদ হয়ে দেখা দিয়েছে। তাছাড়া চিতা ইউটিলিটি হেলিকপ্টারে নিজস্ব অটোপাইলট অপারেটিং সিস্টেম না থাকায় বিপদ সংকূল ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় এটি খুব সহজেই ক্রাস করতে পারে।

ভারতের এইচএএল চিতা সিরিজের লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার মুলত ষাটের দশকের ফ্রান্সের এসএ৩১৫বি লামা সিরিজের লাইট হেলিকপ্টারের লাইসেন্স বিল্ট ভার্সন। এটি প্রথম সার্ভিসে আসে ১৯৭১ সালে।

আসলে ভারতের এইচএএল চিতা ইউটিলিটি হেলিকপ্টার প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক পুরনো হলেও কিন্তু কাশ্মীর বা লাদাখের অধিক উচ্চতায় বা পর্বতের  চূড়ায় সেনাদের প্রয়োজনীয় রসদ পৌঁছে দিতে এর থেকে ভালো পর্যাপ্ত লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার না থাকায় ভারত অনেকটা বাধ্য হয়েই এটিকে এখনো পর্যন্ত সার্ভিসে রেখেছে।

Sherazur Rahman

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top