বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়ে গতবার বর্ষসেরা হন মেসি। এবারের সেরার বিবেচনায় বিশ্বকাপের পরের অর্জনগুলো। আর তাতে ২০২৩ সালে মেসির প্রথম ও সেরা দলগত সাফল্য ছিল পিএসজির হয়ে লিগ শিরোপা জয়। লিগ জয়ের পথে প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা। জায়গা করেন লিগের মৌসুম সেরা দলেও।
জাতীয় দলের হয়ে দারুণ সময়ে থাকা মেসি গত মার্চে ইতিহাসের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ গোলের কীর্তি গড়েন।
গ্রীষ্মের দলবদলে পিএসজি ছেড়ে মেসি পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে, এমএলএস ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। নতুন ক্লাবেও দেখা মেলে চেনা ছন্দে হাজির হন এই ফুটবলার, গোলের পর গোল করে দলকে জেতান অনেকগুলো ম্যাচ।
এমএলএসে সুবিধা না করতে পারলেও মেসির অধিনায়কত্বে লিগস কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় মায়ামি, যা তাদের ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা। আর এটি ছিল বিশ্বকাপজয়ী এই কিংবদন্তির ক্যারিয়ারের ৪৪তম শিরোপা, যার মাধ্যমে তিনি হন ফুটবল ইতিহাসের সফলতম খেলোয়াড়।
গত মৌসুমটা ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে চোখধাঁধানো কাটানোর পরও মেসির কাছে হেরে নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন হলান্ড। গোলের পর গোল করে সিটির প্রিমিয়ার লিগ জেতায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন এই ফুটবলার। ফাইনালে গোল না পেলেও ইংলিশ ক্লাবটির প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়েও গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল হলান্ডের। এছাড়াও জেতেন এফএ কাপ।
সেরার খেতাবের জন্য বিবেচিত সময়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৩ ম্যাচে ২৮টি গোল করেন হলান্ড। জেতেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট, প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা, গোল্ডেন বুট ও সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও।
অমন একটা বছর কাটানোর পর স্বাভাবিকভাবেই বর্ষসেরার জন্য ফেভারিট ধরা হচ্ছিল হলান্ডকেই। কিন্তু এবারও পারলেন না ম্যান সিটি স্ট্রাইকার।
লেখা: মোহাম্মদ রায়হান, স্পোর্টস ব্লগার
আরো খেলার খবর জানতে: sports