বিড়াল কেনাবেচা করা হালাল নাকি হারাম? বিড়াল বেচাকেনা যাবে কিনা?
বিড়াল ক্রয়-বিক্রয় করা হারাম। কারণ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। যেমন নিম্নোক্ত হাদিস সমূহ:
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، قَالَ سَأَلْتُ جَابِرًا عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ، وَالسِّنَّوْرِ، قَالَ زَجَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ আবূ যুবায়র (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জাবির (রাযিঃ) এর নিকট কুকুর ও বিড়ালের মূল্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছেন।”[সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বরঃ [3907] অধ্যায়ঃ ২৩।
মুসাকাহ (পানি সেচের বিনিময়ে ফসলের একটি অংশ প্রদান) (كتاب المساقاة)পরিচ্ছদঃ ৯. কুকুরের মূল্য, গণকের গণনা কাজের মজুরী ও ব্যভিচারিণীর ব্যভিচার দ্বারা উপার্জিত অর্থ হারাম এবং বিড়াল বিক্রি করা নিষেধ। হাদিস একাডেমি]
বিড়াল কেনাবেচা করা হালাল নাকি হারাম
আরেকটি হাদিস:
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ وَالسِّنَّوْرِ .
জাবির ইবনে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, “নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুকুর ও বিড়ালের বিক্রয় মূল্য গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।” [সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়: ইজারা (ভাড়া ও শ্রম বিক্রয়) অনুচ্ছেদ-৬৪, বিড়াল বিক্রয় মূল্য সম্পর্কে, হা/৩৪৭৯-সহিহ]
ইবনুল কাইয়েম রহ. বিড়াল ক্রয়-বিক্রয় হারাম হওয়ার বিষয়ে দৃঢ়ভাবে মত প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন: এটাই সঠিক অভিমত। কারণ এ বিষয়ে সহীহ হাদিস বর্ণিত হয়েছে এবং এর বিপরীতেও কোন হাদিস নেই। সুতরাং এ কথা বলাই আবশ্যক।” (যাদুল মায়াদ ৫/৭৭৩)
সউদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া বোর্ডের ফতোয়া হল:
বিড়াল, বানর, কুকুর ইত্যাদি লম্বা দাঁত বিশিষ্ট হিংস্র প্রাণী বিক্রয় করা নিষিদ্ধ। কারণ এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ও সতর্কবাণী বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া এটি অর্থ-সম্পদ নষ্ট করার শামিল এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ব্যাপারে নিষেধ করেছেন।” (ফতোয়া লাজনা দায়েমা ১৩/৩৭)
কেনা বেচা জায়েজ নয়। তবে, উপহার হিসাবে দেওয়া নেওয়া করা যায়। মালিক যদি দাবী না করে, তাহলে নিজেই নিয়ে নেওয়া যায়।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।