Albert Einstein - Biographical

আইনস্টাইন এর মজার ঘটনা, কিছু ভুল এবং জীবনী- Albert Einstein biography

  • আইনস্টাইন এর মজার ঘটনা: জার্মান পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইন একবার ট্রেনে চড়ে কোথাও যাচ্ছেন। নিয়মানুযায়ী টিকিট চেকার এসে টিকিট চাইল। আইনস্টাইন আর টিকিট খুঁজে পান না। টিকিট চেকার আইনস্টাইনকে চিনতে পেরে বললেন, ‘প্রফেসর, আপনাকে আর খুঁজতে হবে না। আমি জানি আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটেছেন।’ আইনস্টাইন ব্যস্ত হয়ে বললেন, ‘না না, টিকিটটা খুঁজতেই হবে! ওটা না পেলে আমি জানব না আমি কোথায় যাচ্ছি!’
  • তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ফেলা পারমাণবিক বোমায় মানবতা বিপর্যস্ত। জার্মান পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইনও এ নিয়ে দারুণ শোকাহত। হাজার হলেও তাঁর নিজের আবিষ্কৃত সূত্রের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল এই বোমা। কিন্তু তাঁর আবিষ্কৃত এ সূত্র নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে তখন ব্যাপক হইচই। অনেকের মুখেই পৃথিবীর সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীর স্বীকৃতি মিলছে। এ সময় তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে আইনস্টাইনের দিকে অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বন্ধুর ছোট্ট সন্তানটি চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। তখন আইনস্টাইন ছেলেটির মাথায় হাত রেখে বলেন, ‘গত কয়েক বছরে তুমি একমাত্র ব্যক্তি, যে ঠিকভাবে আমাকে চিনতে পেরেছ এবং আমার সম্পর্কে সঠিক বর্ণনা দিতে পেরেছ।’
  • আইনস্টাইন সম্পর্কে চমৎকার বলেছিলেন আরেক বিস্ময় পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। তিনি মনে করতেন, এমন এক দিন আসবে, যেদিন সময়ের কিংবা দুনিয়ার সম্পূর্ণ ইতিহাস লিখে ফেলা যাবে চার পৃষ্ঠায়, আর তার তিন পৃষ্ঠাজুড়ে থাকবে কেবল আইনস্টাইনের নাম।
  • আইনস্টাইন তিন কিংবা চার বছর বয়স পর্যন্ত কথা বলতে শেখেননি। এ নিয়ে দারুণ এক গল্প আছে। চার বছর পর্যন্ত যখন তিনি কথা বলছিলেন না, তখন তাঁর মা-বাবার চিন্তার শেষ নেই। একদিন হঠাৎ খাবার টেবিলে নির্বাক আইনস্টাইন বলে উঠলেন, ‘স্যুপটা খুব গরম!’

মা–বাবা তো আকাশ থেকে পড়লেন, ‘এত দিন কথা বলোনি কেন?’

আইনস্টাইন জীবনের দ্বিতীয় বাক্যটি ব্যবহার করলেন এভাবে, ‘এত দিন তো সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল।’

  • মানুষ মাত্রই কি ভুল হয়? নিজের ভুলভ্রান্তি নিয়ে কী ভাবতেন আইনস্টাইন? ১৯৩৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য আপনার কী কী দরকার?’ আইনস্টাইন বললেন, ‘একটা ডেস্ক, কিছু কাগজ আর একটা পেনসিল। সঙ্গে দরকার বড় একটা ডাস্টবিন, যেখানে আমার সব ভুল করা বা ভুলে ভরা কাগজগুলো ফেলব!’
  • আইনস্টাইন এর মজার ঘটনা
  • স্বামী সম্পর্কে কেমন ধারণা ছিল আইনস্টাইনের স্ত্রীর? তাঁর স্ত্রীকে একবার জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব কি বুঝতে পারেন?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘না, কিন্তু আমার স্বামীকে বুঝি। আমি জানি, তাঁকে বিশ্বাস করা যায়।’
  • একবার বেলজিয়ামের রাণী আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানালেন তাঁর দেশ সফরের। নির্দিষ্ট দিনে আইনস্টাইনকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাবার জন্য রেল স্টেশনে হাজির হল গাড়ির বহর। কিন্তু কোথায় কী? রেল স্টেশনে আইনস্টাইনকে খুঁজেই পাওয়া গেল না। ফিরে চলল গাড়্রির বহর রাজপ্রাসাদের দিকে। কিছুক্ষণ পর সাদাসিধে পোশাকে বেহালা বাজাতে বাজাতে রাজপ্রাসাদে হাজির হলেন বিজ্ঞানী আইনস্টাইন। রাণী ব্যাপারটাতে লজ্জিত হলেন। সাথে সাথে ক্ষমা প্রার্থণা করে জানালেন যে, বিজ্ঞানীকে নিয়ে আসার জন্য গাড়ি বহর রেল স্টেশনে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে ফিরে এসেছে। আইনস্টাইন বললেন,’’আমি ইচ্ছে করেই গাড়ি বহরকে এড়িয়ে গেছি। আর পায়ে হেঁটে বেহালা বাজাতে বাজাতে এসেছি। যদি আপনার ঐ রাজকীয় গাড়িতে আসতাম, তবে কি এভাবে বেহালা বাজাতে পারতাম? সাধারণ মানুষের মত শহরটাকে দেখে নিতে পারতাম?’’ এমনই সহজ সরল আর সাধারণ ছিলেন বিজ্ঞানী আইনস্টাইন। এত বড় বিজ্ঞানী অথচ মনে এতটুকু অহংকার ছিল না।
  • ১৯৩১ সালে কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানান তার একটি শো দেখার জন্য। তখন চ্যাপলিনের ‘সিটি লাইটস্’ সিনেমার প্রদর্শনী চলছিল। শো-এর পরে তারা দুজন শহরের পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবাই আমাকে সহজেই বোঝে, এজন্যই আমার এত জনপ্রিয়তা। কিন্তু মানুষ আপনাকে কেন এত পছন্দ করে বুঝলাম না।’আইনস্টাইন সহাস্যে প্রত্যুত্তরে জানালেন, ‘কেউ আমাকে সহজে বুঝতে পারে না বলেই আমার এই জনপ্রিয়তা’। আইনস্টাইন এর মজার ঘটনা
  • আইনস্টাইনের কাছে একবার আপেক্ষিকতার সহজ ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলো। উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘আপনার হাত একটা জ্বলন্ত চুলার উপর ধরে রাখুন, মনে হবে এক ঘন্টা পার হয়ে গেছে। কিন্তু একজন সুন্দরী মেয়ের পাশে একঘন্টা বসে থাকুন, আপনার কাছে মনে হবে মাত্র এক মিনিট পার হলো…এটাই আপেক্ষিকতা।’
  • একবার আইনস্টাইন বাইরে থেকে বাসায় ফিরে দরজায় কড়া নাড়লেন। ভেতর থেকে তাঁর স্ত্রী ভাবলেন অন্য কেউ হয়তো আইনস্টাইনকে খুঁজতে এসেছেন, তাই তিনি বেশ বিরক্ত হয়ে চেচিয়ে বললেন, আইনস্টাইন বাড়িতে নেই। ব্যস, চিন্তিত আইনস্টাইন কোনো কথা না বলে উল্টো হাঁটা ধরলেন।
  • ১৯৩০ সালে আমেরিকার উদ্দেশে বার্লিন ত্যাগ করেন আইনস্টাইন। বার্লিন রেলস্টেশনে পৌঁছেই স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেন তিনি। যা হোক, একসময় খুঁজে পেলেন তাঁকে। তারপরই টিকিট জোড়া হারিয়ে বসলেন। শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গেল তাও, আর এভাবেই শুরু হলো তাঁর দ্বিতীয় আমেরিকা যাত্রা।
  • এক পার্টিতে আইনস্টাইনকে চিনতে না পেরে এক তরুণী প্রশ্ন করলেন, আপনি কী করেন? আইনস্টাইন উত্তর দিলেন, আমি পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র। তরুণী অবাক হয়ে বললেন, আপনি এখনও ছাত্র! আর আমি গত বছর পাশ করেছি!
  • আলবার্ট আইনস্টাইন একবার বিজ্ঞানীদের সম্মেলনে যোগ দিতে যান। সেখানে একজন বিশিষ্ট জ্যোতির্বিদ মন্তব্য করেন, ‘অসীম বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে একজন জ্যোতির্বিদ গুরুত্বহীন একটি বিন্দু ছাড়া কিছুই নন।’জবাবে আইনস্টাইন বলেন, ‘তবে আমার ব্যাপারটি হচ্ছে কি, কোনো মানুষকে যদি আমি এ রকম গুরুত্বহীন বিন্দু মনে করি, দেখি যে ওই ব্যক্তি একজন জ্যোতির্বিদ।’
  • আইনস্টাইন একবার রেলগাড়ির ডাইনিংয়ে রাতের খাবার খেতে এসে দেখলেন, চশমা ফেলে এসেছেন। খালি চোখে মেন্যুও পড়া যাচ্ছে না। তিনি ওয়েট্রেসকে ডেকে বললেন, দয়া করে এটা পড়ে দাও। ওয়েট্রেস তাঁর দিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, ‘দুঃখিত স্যার, আমার পড়াশোনার দৌড়ও আপনার মতোই।’
  • আইনস্টাইনের ‘থিওরি অব রিলেটিভিটি’ তত্ত্ব আবিষ্কারের পর সেই সময়ে অল্প কয়েকজন বিজ্ঞানী শুধু বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই আবিষ্কারের ফলেই তাঁর জনপ্রিয়তা সর্বস্তরে পৌঁছে যায়। এক চুরুট কোম্পানি তো তাদের চুরুটের নামই ‘রিলেটিভিটি চুরুট’ রেখে দেয়। সে সময় এক সাংবাদিক আইনস্টাইনকে প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা বলুন তো, থিওরি অব রিলেটিভিটি নিয়ে চারদিকে এত আলোচনা হচ্ছে কেন?’ আইনস্টাইন মৃদু হেসে উত্তর দিলেন, ‘মানুষ ফ্যাশন পছন্দ করে। আর এ বছরের ফ্যাশন হলো থিওরি অব রিলেটিভিটি। তাই এ নিয়ে এত আলোচনা।’
  • বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের মেধার তুলনায় তাঁর চেহারা ছিল নিতান্তই সাদামাটা। তারপরও একবার এক সুন্দরী অভিনেত্রী প্রস্তাব দেন, ‘চলুন আমরা বিয়ে করে ফেলি। তাহলে আমাদের সন্তানের চেহারা হবে আমার মতো সুন্দর আর মেধা হবে আপনার মতো প্রখর।’আইনস্টাইনের নির্বিকার উত্তর, ‘কিন্তু যদি ঠিক এর উল্টোটা ঘটে, তবে কী হবে?’
  • আইনস্টাইনের আরেকটি মজার ঘটনা। তিনি বিভিন্ন সভা-সেমিনারে, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার উদ্ভাবিত তত্ত্বটি বোঝাতে লেকচার দিতে যেতেন। প্রায় সব সেমিনারে তিনি একই ধরনের আলোচনা করতেন। একবার এমনি এক সেমিনারে তিনি আমন্ত্রিত হয়েছেন, লেকচার দেওয়ার জন্য। পথিমধ্যে তার গাড়ির ড্রাইভার এক আজব আবদার করে বসল। বলল, ‘স্যার, আপনার লেকচারগুলো শুনতে শুনতে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে। আজ এক দিনের জন্য আমি আইনস্টাইন সেজে সেমিনারে বক্তব্য দিতে চাই।’ আইনস্টাইনেরও কথাটা খুব মনে ধরল। তিনি এক কথায় রাজি। দেখাই যাক না, ব্যাপারটা কী হয়? তো, ড্রাইভার আইনস্টাইন সেজে অনুষ্ঠানে গেল বক্তব্য দিতে আর স্বয়ং আইনস্টাইন দর্শক সারিতে বসে রইলেন আইনস্টাইনেরই ড্রাইভার হয়ে। তখন তো আর মিডিয়ার এত দৌরাত্দ্য ছিল না। তাই ব্যাপারটা কেউ বুঝতে পারল না। আইনস্টাইনরূপী ড্রাইভার মঞ্চে বক্তব্য রাখল এবং চমৎকার বক্তব্য রাখল। দর্শক সারিতে বসে মুগ্ধ আইনস্টাইন বার বার হাততালি দিতে লাগলেন। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত একজন আইনস্টাইনের ড্রাইভারের কাছে গিয়ে বললেন, ‘আপনার বক্তব্যটি আমার খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু কি জানেন, আমি এই অমুক অমুক বিষয়গুলো একদম বুঝতে পারিনি। আপনি কি অনুগ্রহ করে আমাকে বিষয়গুলো বুঝিয়ে দেবেন?’ আইনস্টাইনের ড্রাইভার বিন্দু মাত্র না ঘাবড়ে উত্তর দিল, ‘ওহ! এই ব্যাপার? এই ব্যাপারটা তো আমার ড্রাইভারই বুঝিয়ে দিতে পারবে। চলুন তার কাছেই যাই।’ ( আইনস্টাইন এর মজার ঘটনা )
  • দুই. আইনস্টাইন বুঝতে পারলেন-হিটলারের আমলে জার্মানিতে থাকা আর নিরাপদ নয়। তাই তিনি আমেরিকায় পাড়ি জমালেন। আমেরিকায় তিনি ভার্সিটিতে পড়াবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে ইউরোপে অধ্যাপকের মাইনে আর আমেরিকার অধ্যাপকের মাইনেতে যে এতো বিশাল ব্যবধান তা আইনস্টাইন জানতেন না। তো, আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির প্রধান আলবার্ট আইনস্টাইনকে বেতন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় আইনস্টাইন জার্মানির বেতনের সাথে হিসেব করে বছরে ৩ হাজার ডলার দাবী করলেন। টাকার অংক শুনে ভার্সিটির প্রধান চুপ হয়ে গেলেন। অন্যদিকে আইনস্টাইন ভাবছেন তিনি হয়তো প্রধানের কাছে কিছুটা বেশি বেতন চেয়ে বসলেন। অবশেষে ১৫ হাজার ডলারে আইস্টাইনের বেতন নির্ধারণ হলো।
  • তরুণ বয়সে ভার্সিটি পড়া অবস্থায় আলবার্ট আইনস্টাইন হতাশায় পড়ে একবার পিতাকে চিঠিতে লিখেছিলেন যে, “আমার জন্ম না হওয়াই হয়তো ভাল ছিল।” বিখ্যাত হওয়ার পর আইনস্টাইন নিজেকে কখনো খুব জিনিয়াস বলেন নি, তবে অন্যদের থেকে বেশি কল্পনা করার শক্তি তা আছে তা নিজে স্বীকার করতেন।
  • এত সুন্দর ব্যাখ্যা যিনি দিতে পারেন, তিনি কিন্তু অনেক সময় জীবনের সহজ ব্যাপারগুলো বুঝতে পারতেন না। একবার আইনস্টাইন বাড়ি বানালেন। একদিন তিনি বাড়িটা কেমন হল তা দেখতে গেলেন। ঘুরে ঘুরে সব দেখে তিনি জানতে চাইলেন, তাঁর ছোট্ট বিড়ালছানাটি ঘরে ঢুকবে কি করে? তার জন্য তো কোন আলাদা ছোট দরজা বানানো হয় নি। আসলে যাঁরা অনেক বড় মানুষ, তাঁরা সব সময় বড় বড় চিন্তায় মগ্ন থাকেন তো, তাই ছোট ছোট ব্যাপারগুলো তাঁরা অনেক সময় বুঝতে পারেন না। বিজ্ঞানী আইনস্টাইনও এই ছোট্ট ব্যাপারটা কিছুতেই বুঝতে পারলেন না।অবশেষে তাঁকে খুশি করার জন্য বড় দরজার পাশে আরেকটি ছোট দরজা তৈরি করে দেওয়া হল, যেন তাঁর আদরের বেড়ালছানাটি নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত বেড়ালছানাটি কোন দরজা ব্যবহার করত তা আইনস্টাইনই ভাল বলতে পারবেন।
  • একবার বিজ্ঞানী আইনস্টাইন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন ।

হঠাৎ এক সাংবাদিক প্রশ্ন করল- “স্যার, আপনি কি জানেন ১মাইলে কত কিলোমিটার ?”

আইনস্টাইন বললেন – ” না, আমি জানি না ।”

সাংবাদিকটি সবিষ্ময়ে বললো – ” সেকি! আপনি এত বড় বিজ্ঞানী অথচ এটাও জানেন না??”

উত্তরে আইনস্টাইন বললেন – ” যে তথ্য

রেফারেন্স বই ঘেটে দুই মিনিটের মধ্যে বের করা যায় সেই তথ্য মস্তিষ্কে জমা রাখতে যাব কেন ?

আমি মস্তিষ্ক ব্যবহার করি চিন্তাভাবনার জন্য, অর্থহীন জ্ঞানের গুদাম হিসেবে নয় “

আইনস্টাইন এর মজার ঘটনা

শৈশব

জীবন প্রতিভা বছর – 1879-1955। জীবনী আলবার্তো Eynshteyna শুরু মার্চ 14 1879 বছর। সেই সময়ই তিনি শহরের জন্মগ্রহণ করেন উল্ম (জার্মানি)। তাঁর পিতা একটি সমৃদ্ধ ইহুদি বণিক ছিল না। এটি একটি ছোট বৈদ্যুতিক কর্মশালার রয়েছে।

জানা যায় তিন বছরের, আলবার্ট বলেন নি, কিন্তু, তিনি অসাধারণ কৌতূহল দেখিয়েছেন যে ইতিমধ্যে প্রারম্ভিক বছর হবে। ভবিষ্যত বিজ্ঞানীদের জানা কীভাবে বিশ্ব আগ্রহী। উপরন্তু, একটি তরুণ বয়স থেকে সে গণিত জন্য প্রবণতা দেখিয়েছে, বিমূর্ত ধারণা বুঝতে পারে। 12 বছর বয়সে, বই উপর, ইউক্লিডিয় জ্যামিতি আলবার্ট আইনস্টাইন পড়াশোনা করেন।

শিশুদের জন্য জীবনী, আমরা বিশ্বাস করি, অগত্যা আলবার্ট প্রায় এক অদ্ভুত সত্য অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক। জানা যায় সন্তান বিখ্যাত বিজ্ঞানী কোন শিশু প্রতিভাকে ছিল না। তাছাড়া, তার উপযোগিতা সন্দেহ পার্শ্ববর্তী। আইনস্টাইনের মা শিশুর (আসলে যে তিনি একজন বড় মাথা ছিল) মধ্যে জন্মগত malformations উপস্থিতিতে সন্দেহভাজন। স্কুলে ভবিষ্যত প্রতিভা ধীর প্রমাণিত হয়েছে, অলস, বন্ধ করে দেয়। সবাই তার দিকে অপহসিত। শিক্ষক বিশ্বাস করি যে এটা প্রায় কোন ব্যাপার কি সক্ষম নয়। স্কুলের খুব জানতে কতটা কঠিন শৈশব আলবার্ট আইনস্টাইন মত একটি মহান বিজ্ঞানী ছিল কাজে লাগবে। শিশুদের ব্রিফ জীবনী মাত্র ঘটনা একটি শুমার করা উচিত হবে না, কিন্তু কিছু জানতে। সহনশীলতা, আমাদের নিজেদের শক্তিতে বিশ্বাসের – এই ক্ষেত্রে। আপনার সন্তানের মতানুযায়ী মরিয়া এবং কিছু পারবে না কেবল আইনস্টাইনের শৈশব সম্পর্কে তাকে জানাতে করে। তিনি হাল ছেড়ে দেননি, যেমন আরও জীবনী আলবার্তো Eynshteyna প্রমাণ, তাদের নিজস্ব শক্তি বিশ্বাস রাখা। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছি যে কত সক্ষম।

আইনস্টাইন এর মজার ঘটনা

পেটেন্ট অফিসে কাজ

স্নাতকের পর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী পেটেন্ট অফিস বিশেষজ্ঞ এ কাজ শুরু করেন। যেহেতু তরুণ বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য মূল্যায়ন সাধারণত প্রায় 10 মিনিট সময় নেয়, তিনি বিনামূল্যে অনেক সময় ছিল। এই সঙ্গে আলবার্ট আইনস্টাইন তাদের নিজস্ব তত্ত্ব বিকশিত হতে শুরু করে। সংক্ষিপ্ত জীবনী ও খোলা এটি শীঘ্রই অনেকের কাছে পরিচিত হন।

একাডেমিয়া আইনস্টাইন এবং বোর বিতর্ক স্বীকৃতি

অবশেষে বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বীকৃতি এসেছে। আইনস্টাইন 1921 সালে নোবেল পুরস্কার লাভ (যদিও কোয়ান্টাম তত্ত্ব, এবং আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব)। তিনি কতিপয় পরিষদ সাম্মানিক সদস্য নির্বাচিত হন। মতামত আলবার্ট বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত একজন। আইনস্টাইন সারা পৃথিবী কুড়ি ভ্রমণ। তিনি বিশ্বজুড়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞানী ভূমিকা আলোচনা, যা কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান উপর দেরী 1920 বিকশিত মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

আইনস্টাইন এর আর্গুমেন্ট এবং এই সমস্যা বোর সঙ্গে কথোপকথন বিখ্যাত হয়ে আছে। আইনস্টাইন যে কিছু ক্ষেত্রে মেনে নিতে পারেনি , কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান শুধুমাত্র সম্ভাব্যতা সঙ্গে এবং সঠিক মান পরিচালনা করে। এটা তোলে microworld বিভিন্ন আইন মৌলিক অনির্ণেয়তা অনুসারে করা হয়নি। আইনস্টাইনের প্রিয় অভিব্যক্তি ফ্রেজ ছিল: “ঈশ্বর পাশা খেলা না!”। যাইহোক, আলবার্ট বোর সঙ্গে বিতর্কে, দৃশ্যতঃ না করার অধিকার ছিল না। যেহেতু আপনি দেখতে পারেন, এবং জিনিয়াস ভুল করছেন, আলবার্ট আইনস্টাইন সহ। জীবনী এবং এটি সম্পর্কে আকর্ষণীয় বিষয় সত্য যে সব ভ্রমপ্রবণ কারণে বিয়োগান্ত নাটক যা এই ব্যায়াম মাধ্যমে সর্বস্বান্ত হয়েছে অনুপূরক ছিল।

আইনস্টাইন জীবনে বিয়োগান্ত নাটক

তার জীবনের শেষ 30 বছরে আপেক্ষিকতা স্রষ্টার বৈজ্ঞানিক কার্যকলাপ দুর্ভাগ্যক্রমে, অনুৎপাদনশীল ছিল। এই সত্যটি বিজ্ঞানী নিজেই অপরিমেয় মান কাজটি সেট করেছে যে কথা ছিল। আলবার্ট সমস্ত সম্ভাব্য ইন্টারঅ্যাকশনকে একটি ইউনিফাইড তত্ত্ব তৈরী করতে চান। এই ধরনের একটি তত্ত্ব, এটি এখন স্পষ্ট, কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান কাঠামোর মধ্যে সম্ভব। যুদ্ধের আগে, উপরন্তু, খুব সামান্য অন্যান্য কথাবার্তাও অস্তিত্ব সম্পর্কে মহাকর্ষীয় এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ছাড়াও পরিচিত ছিল। বলবান প্রচেষ্টা আলবার্তো Eynshteyna তাই কিছুই ঘটে। সম্ভবত এই তার জীবনে সবচেয়ে বড় বিয়োগান্তক এক।

আপেক্ষিকতা বিশেষ তত্ত্ব

এটা যে নিউটনের সময় থেকে বিজ্ঞান অস্তিত্ব সময় এবং স্থান ধারণা ধ্বংস করেছে। পোয়াঁকারে এবং জি উ: Lorents নতুন তত্ত্ব বিধান একটি নম্বর সৃষ্টি, কিন্তু শুধুমাত্র আইনস্টাইন তার স্বীকার্য শারীরিক ভাষা দিয়েও করতে সক্ষম হন। প্রথম স্থানে এই উদ্বেগ, আপেক্ষিকতা নীতি এবং সংকেত প্রসারণ গতি মধ্যে উপস্থিতি। আর আজ আমরা বিবৃতি অভিযুক্ত এমনকি আগে আপেক্ষিকতা আইনস্টাইনের তত্ত্ব তৈরি করা হয়েছে জানতে পারেন। যাইহোক, এই সত্য নয়, কারণ যে (যার অনেকগুলোই সত্যিই পোয়াঁকারে এবং লোরেন্ত্জ আনা হয়) পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক বেস হিসাবে হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ নয় হবে। তাদের সব পরে এই সূত্র আহরণ করা। শুধু আলবার্ট আইনস্টাইন শারীরিক বিষয়বস্তু পরিপ্রেক্ষিতে আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রকাশ করতে সক্ষম হন।

আইনস্টাইন এর মজার ঘটনা

কিছু উক্তি

”স্কুলে যা শেখানো হয়, তার সবটুকুই ভুলে যাবার পর যা অবশিষ্ট থাকে, তা-ই হলো প্রকৃত শিক্ষা।“- আলবার্ট আইনস্টাইন

”সৃষ্টিশীল প্রকাশ এবং জ্ঞানের মধ্যে আনন্দ জাগ্রত করা হলো শিক্ষকের সর্বপ্রধান শিল্প।“-আলবার্ট আইনস্টাইন

 “কল্পনাশক্তি জ্ঞানের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান সীমিত। কিন্তু কল্পনা পৃথিবীটাকে প্রদক্ষিণ করে।“

”একমাত্র মূল্যবান জিনিস হলো প্রজ্ঞা।“

”তথ্য জ্ঞান নয়।“

”প্রজ্ঞা বিদ্যালয়ের শিক্ষার পণ্য নয়, তবে এটি অর্জনের আজীবন প্রয়াস।“

”বুদ্ধিমত্তার সত্যিকারের নিদর্শন জ্ঞান নয় কল্পনা শক্তি।”-আলবার্ট আইনস্টাইন

”আপনি যদি চান আপনার বাচ্চারা বুদ্ধিমান হোক তবে তাদের রূপকথার গল্প পড়ান। আপনি যদি তাদের আরও বুদ্ধিমান হতে দেখতে চান তবে তাদের আরও রূপকথার গল্প পড়ান।“

আইনস্টাইনের মৃত্যুর তারিখ: সেপ্টেম্বর ১৯০৩

আইনস্টাইন এর মজার ঘটনা

albert einstein funny: http://www.coolfunnyquotes.com/author/albert-einstein/

তথ্য সূত্র: ইন্টারনেট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top