নিত্য ডেস্ক: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এর ৫ম ধাপের নির্বাচন আগামী ২৬শে ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে। এতে লক্ষীপুর সদর উপজেলার ১৮ নং কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। উক্ত ইউনিয়নে প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন অনেকেই, কিন্তু এলাকায় সরেজমিনে জানা গেছে তরুন প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার নিরিক্ষায় অনেকটাই এগিয়ে আছেন মু. রাফি নাহিদ।
মু. রাফি নাহিদ সাবেক ৪ বারের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন (চেয়ারম্যান) এর বড় ছেলে। আসন্ন ১৮ নং কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উন্নয়ন সুশাসন ও পরিকল্পিত ইউনিয়ন গড়তে ইউনিয়নবাসীদের কাছে দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন তিনি।
কুশাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ মুজাহিদ মনির এর সাথে কথা বলে জানা গেছে তার মতে রাফি নাহিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র , নোয়াখালী জিলা স্কুলের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র, জনতা ডিগ্রি কলেজ এর বাংলা প্রভাষক, খন্ডকালীন বাংলা প্রভাষক,লক্ষীপুর সরকারি কলেজ , বাংলা প্রভাষক, লক্ষীপুর কমার্স কলেজ , স্থায়ী উপস্থাপক, নিক্কণ সাংস্কৃতিক সংসদ এবং একাধারে স্বীকৃতি এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত উপস্হাপক,বক্তা,লেখক,কবি, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার, ধারাভাষ্যকার, বিতার্কিক, বিচারক এবং অনুষ্ঠান সন্ঞ্চালক, অ্যাম্বাসেডর, দূর্বার LICT কর্ণধার মরহুম নুরুল আমিন চেয়ারম্যান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সভা সেমিনার, জেলা নজরুল ইনস্টিটিউট, শিল্পকলা একাডেমির দক্ষ সঞ্চালক এবং উপস্থাপক। এগুলার বাহিরেও উনার অনেক অর্জন এবং পুরস্কার আছে যা আমার অজানা। এছাড়াও মুজাহিদ মনির বলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মু. রাফি নাহিদ এর পারিবারিক বিষয় নিয়ে, মু. রাফি নাহিদ এর বাবা মরহুম নুরুল আমিন চেয়ারম্যান অত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা এবং সর্বাধিক নির্বাচিত চেয়ারম্যান, এছাড়াও উনার চাচা, মামা,আপু,ভাগিনা ভাগ্নী অনেকেই ডাক্তার ইন্জিনিয়ার,অনেকে প্রফেসর,আমাদের এলাকার সবচেয়ে শিক্ষিত এবং স্বনামধন্য পরিবার উনাদের। পুকুরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় উনার চাচা অধ্যক্ষ রুহুল আমিন প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় সবশেষ একটা প্রশ্ন যার শরীরে চেয়ারম্যানের রক্ত বইছে উনার চেয়েও কে বা বেশি চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্যতা রাখে?? দরকার শুধু সুযোগের। এভাবেই আলাপচারিতায় কথা হয় অত্র ইউনিয়নের বেশ কিছু বাসিন্দার সাথে।
মু. রাফি নাহিদ ইউনিয়নের শান্তির হাট, পুকুরদিয়া বাজারসহ উক্ত ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে বর্তমানে প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তার প্রতিক মোটর সাইকেল।
বাবার লালিত স্বপ্ন ও রেখে যাওয়া প্রাণপ্রিয় ইউনিয়নের মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৮নং কুশাখালী ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত নুরুল আমিনের জ্যেষ্ঠ পুত্র মু. রাফি নাহিদ।
মু. রাফি নাহিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। এরপর রুপাচরা জনতা ডিগ্রী কলেজে বাংলা প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এবং সুনামের সাথে গড়ে তুলছেন বহু দেশ কারিগর।
সুনামধন্য প্রভাষক এবং একজন সুপরিচিত সঞ্চালক রাফি নাহিদ। জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সকল অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেও কুড়িয়েছেন অনেক সুনাম।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জেলার প্রশাসনের যৌথ সমন্বয়ে “আলোকিত লক্ষ্মীপুর” নামে ভিডিও ডক্যুমেন্টারিতে কণ্ঠ দিয়েছেন রাফি নাহিদ।
রাফি নাহিদ জেলার সংস্কৃতি ও সামাজিক কাজেও রেখেছেন বিরাট অবদান। জেলার আন্যতম বড়ো সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘নিক্কণ সাংস্কৃতিক সংসদ’র এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। অনেকবার রক্তদান করে বাঁচিয়েছেন অনেক প্রাণ।
করোনাকালীন সময়ে ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও সচেতনতামূলক কাজ করেছেন তিনি। এবং দৈনিক খোঁজখবর নিচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষের।
প্রয়াত নুরুল আমিন চেয়ারম্যান-ই কুশাখালী ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে কুশাখালী ইউনিয়নবাসীর জন্য নিজ হাতে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তৈরি করেছেন এলাকার বিভিন্ন সড়ক। ভাঙা পুল, কালভার্ট নির্মাণ এবং জনগণের সুখে, দুঃখে ছায়ার মত পাশে ছিলেন জীবনের শেষ অবধি। দুর্গম এলাকাটিকে করেছেন জেলার অন্যতম ইউনিয়ন।
তিনি কুশাখালী ইউনিয়নকে জেলার সেরা ইউনিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন এবং চারবারের সফল চেয়ারম্যান হয়ে সুনাম ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
ওনারই ধারাবাহিকতায় এবং বাবার লালিত স্বপ্নগুলো
পূরণের জন্য এলাকার আপামর জনগণ ওনার জ্যেষ্ঠ পুত্র মু. রাফি নাহিদকে চেয়ারম্যান হিসেবে চাচ্ছেন এবং চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহবান করছেন। যেনো, বাবার মতো করে ছেলেও এই ইউনিয়নটিকে সাজাতে পারেন উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো।
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং এলাকার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের অংশীদার হিসেবে থাকতে চান রাফি নাহিদ। অব্যাহত রাখতে চান বাবার সুনাম ও জনগণের সেবা।