ডেস্ক রিপোর্ট: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এর ৫ম ধাপের নির্বাচন আগামী ২৩শে ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে। এতে নোয়াখালী সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তার মধ্যে ১৯ নং পুর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। উক্ত ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রতিক চায় অনেকেই, কিন্তু এলাকায় কথা বলে জানা গেছে আওয়ামী লীগের নমিনেশন পাওয়ার হিসাব নিরিক্ষায় অনেকটাই এগিয়ে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আলম।
তিনি ২০১৫ সালে উপ-নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রথমবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং তারপরে ২০১৬ সালে আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতিক নিয়ে পুনরায় বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন।
২০১৬ সালে দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দলীয় সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করেন এবং অত্র ইউনিয়নে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের জন্য এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান নুরুল আলম।
তিনি নিজস্ব তহবিল থেকে এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা সহ সকল ধর্মীয় ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন।
তার চেয়ারম্যানের মেয়াদকালে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয় বলে এলাকায় জানা গেছে। উন্নয়ন গুলোর মধ্যে বিশেষ করে পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ, পোল-কালভার্ট, সলিং রাস্তা ও নতুন রাস্তায় মাটি ভরাট সহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ রয়েছে। এছাড়াও তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে এলাকায় মাদক,জুয়া, ইভটিজিং, চুরি,ডাকাতি সহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেস্ন গ্রহন করেন যার জন্য উক্ত চেয়ারম্যান নুরুল আলম বার বার এলাকার সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
তিনি প্রতি বুধবার ইউনিয়ন পরিষদে এবং প্রতি শনিবার উক্ত ইউনিয়নের বড় বাজার সফিগঞ্জ বাজারে গ্রাম আদালত পরিচালনা করেন এবং প্রতি সন্ধা বেলায় মন্ত্রিরপোল তার ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক কার্যালয়ে এবং রাতে তার নিজ বাড়ীতে গ্রাম্য সালিশ ও এলাকা বাসীর বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেন।
এ বিষয়ে অত্র ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় চেয়ারম্যান নুরুল আলমের বিচার কার্যক্রম সহ নানান উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারনে এলাকাবাসী তাকে আবার চেয়ারম্যান হিসেবে চায়।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকগণ বলেন অত্র ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে নুরুল আলম চেয়ারম্যানকেই তারা পুনরায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য জোর আবেদন জানায়। কারন, ইউনিয়ন নেতা-কর্মীদের মধ্যে সমন্বয়ের কারনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের প্রথম পছন্দ নুরুল আলম। তাই দলীয় নমিনেশনের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন বর্তমানের এই জনপ্রিয় ও সফল চেয়ারম্যান জনাব মোঃ নুরুল আলম।
চেয়ারম্যান নুরুল আলম হৃদয় বাংলার সাথে একান্ত আলোচনায় বলেছেন, আমি ছোট বেলা থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, বিগত জামাত-বিএনপি জোট সরকারের আমলে বারংবার নির্যাতনের শিকার হয়েছি এমনকি ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে এলাকা ছাড়তে হয়েছে। আমি বর্তমানে নোয়াখালী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার বাবা মরহুম খোরশেদ আলম মেম্বার ছিলেন বৃহত্তর চরমটুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক (বর্তমানে যা ১নং চরমটুয়া,১৯নং পূর্ব চরমটুয়া ও ২০ নং আন্ডারচর ইউনিয়ন)।
আমি ২০১৫ সালে উপ-নির্বচনে এবং ২০১৬ সালে আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়নকৃত নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হই। আমি আমার নেতা নোয়াখালী ৪ আসনের মাননীয় সাংসদ জননেতা একরামুল করিম চৌধুরী এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনায় কাজ করছি।
আমার চেয়ারম্যানের মেয়াদকালে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয় । উন্নয়ন গুলোর মধ্যে বিশেষ করে পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ, পোল-কালভার্ট, সলিং রাস্তা ও নতুন রাস্তায় মাটি ভরাট সহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ রয়েছে। এছাড়াও আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে এলাকায় মাদক,জুয়া, ইভটিজিং, চুরি,ডাকাতি সহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেস্ন গ্রহন করি যার জন্য আমার উপর এলাকার চিন্হিত সন্ত্রাসীরা বার বার হামলা করে এবং আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তারপরেও আমি এলাকার স্বার্থে বিগত চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে কাজ করে আসছি।
আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে শতভাগ বিজিডি, বিজিএফ, জেলে ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দশটাকায় চাল সহ সকল সরকারী ভাতাদী সুষ্ঠ ভাবে বন্টন করি এবং কৃষি কাজে কৃষকের জন্য বীজ, কিটনাশক, সার সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করি। আমি আশা করি আমার নেত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে সঠিক মূল্যায়ন করবে এবং ১৯ নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন বাসীর সেবা করার জন্য ও উন্নয়নমূলক ধারাবাহিকতার জন্য আমাকে পুনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতিকে নমিনেশন দিবে বলে শতভাগ আশাবাদী।
সূত্র: হৃদয় বাংলা।
