দুর্নীতির মামলায় এমপি হাজী সেলিমের ১৩ বছরের কারাদন্ড থেকে খালাস এর রায় আপিল বিভাগ বাতিল করে ২০১৫ সালে সেসময়ের রায়ে বলা হয় অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা না করে সেলিমকে খালাস দেয়া হয় । এর পর নতুন করে মামলাটি শুনানির জন্য আবারো পাঠানো হয় হাইকোর্ট এ কিন্তু এর পর কেটে গেছে ৫ বছর । নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও নানা অনিয়মের অভিযোগে হাজী সেলিম পুত্র ইরফান সেলিম গ্রেফতার হওয়ার পর বাবা হাজী সেলিমের দুর্নীতির মামলা শুনানির দিন ধার্য করতে আবেদনটি করে দুদক । বুধবার শুনানি শেষে এই মামলার সব নধি তলব করেন উচ্চ আদালত । এতো দিন পর কেন ঘুম ভাঙল দুদকের এই নিয়ে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভকেট খুরশিদ আলম খান বলেন যে দুই তিনবার আদালত পরিবর্তন হয়েছে সর্বশেষ যখন তারা বলেছেন তখন দেশে করোনা চলে আসছে । করোনা পরবর্তী যখনই সব কিছু স্বাভাবিক হয়েছে তখনই তারা এ্যাকশন নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন । তিনি আরো বলেছেন হাজী সেলিম এর পরিবার বা ছেলে কি করেছে সেইটা তাদের ব্যাপার না হাজী সেলিম কি করেছে তারা সেইটা দেখবেন এবং তার শুনানির জন্য চেষ্টা করবেন । এম পির আইনজীবীর দাবি তারা বার বার শুনানির উদ্যোগ নিলেও সাড়া মেলে নি দুদকের । তিনি আর অভিযোগ করেন দুদক এই মামলা অগ্রগতির জন্য কোন উদ্যোগ নেয় নাই । একটি সংস্থা বলছে দুদকের মামলা পরিচালনায় আগের আইনজীবীর ভদ্রতা প্রশ্ন বিদ্ধ ছিলো । তাই তাকে আই মামলা থেকে সরিয়ে নতুন আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয় । এম পি সেলিমের মতো আরো ১ ডজন মামলা ঝুলে আছে উচ্চ আদালতে ।