১. দৃষ্টি বিভ্রম নাকি জাদুর কৌশল?
একটি কোম্পানি বিশেষ প্রযুক্তিতে আলোক রশ্মি বাকানোর উপায় বের করেছে য চোখের সামনে থেকে কোন বস্তুকে অদৃশ্য করতে পারে। কানাডা ভিত্তিক হাইপারস্টেলথ বায়োটেকনোলজি বলছে একটা বস্তুর চারপাশের আলোকে ঘুরিয়ে দিয়ে সেটি অদৃশ্য করতে তারা সক্ষম হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে শুধু ঐ বস্তুর চারপাশটা। যদিও এই প্রযুক্তি নিয়ে আরো কাজ চলছে কিন্তু কোম্পানিটি বলছে এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে ব্যবহার করা হবে সামরিক কাজে।
২. মানুষের প্রিন্ট করা নতুন চোখ
এটা ত্রিমাত্রিক প্দ্ধতিতে প্রিন্ট করা একটি যান্ত্রিক চোখ। আমেরিকায় মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় প্রথমবারের মতো গোল বস্তুর ওপর এমনভাবে গুচ্ছ আলোকরশ্মি প্রিন্ট করেছেন যা চোখের মতো কাজ করে। তাদের আশা একদিন এই প্রযুক্তি অন্ধ মানুষকে দৃষ্টি দিবে। কিছু সংস্থা ইতিমধ্যে নিজেদের যান্ত্রিক চোখ প্রতিস্থাপন করেছে যেমন রেটিনা ইমপ্লান্ট যেখানে ক্ষুদ্র ক্যামেরায় তোলা ছবি কাচের উপর দেখা যায়। কিন্তু প্রিন্ট করা ত্রিমাত্রিক যান্ত্রিক চোখ কিভাবে কাজ করে? আপনার চোখ যেভাবে কাজ করে তাহলো আপনার রেটিনার কোষের উপর আলো যখন এসে পড়ে তখন কোষ সেটাকে বৈদুতিক সংকেতে রুপান্তর করে মাথায় পাঠায়। আপনার মাথা পুরোপুরি কাজ করে কাজ করে বিদ্যুৎ সংকেত গ্রহন করে কাজেই চোখের মতো গোলাকৃতি কোন যন্ত্র ব্যবহার করে চোখ যেভাবে আলোকে বৈদুতিক সংকেতে রুপান্তর করে সেটা অনুকরন করতে হবে এখানে আমরা সেটাই করছি। আমাদের উদ্ভাবকরা আলোর গ্রাহক কোষগুলো নরম বস্তুর ওপর প্রিন্ট করছে যাতে বাইরের ক্যামেরার বদলে সেই প্রিন্ট করা চোখটা প্রতিস্থাপন করা যায়।
৩. জীবানু দিয়ে তৈরি বাসস্থান যা জীবন্ত
বালু জেল এবং জীবানু ব্যবহার করে করা হয়েছে জীবন্ত কংক্রিট। অবশ্য পাড়ার দোকানে গিয়ে এখনোই এ ধরনের কংক্রিট কিনতে পারবেন না তবে গবেষকরা বলছেন যে জীবন্ত ইটের ভবন তৈরি হতে বেশি দেরি নেই। বোল্ডারে কোলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলেছেন এই জীবন্ত সরঞ্জাম বাড়ির ফাটল বোঝাতে বাতাসের বিষ শুষতে এমনকি আলো ও ছড়াতে পারবে তারা আরো বলেছেন এটা সাধারণ কংক্রিটের চেয়ে অনেক পরিবেশ বান্ধব। বিশ্বে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড এর ৮% আসে সিমেন্ট থেকে দলটি বলছে জীবন্ত ইট নিজে থেকে তৈরি হতে পারে এবং অনেক টেকসই। ইট গাঁথার জন্য এখন যেই যে সিমেন্ট সুরকি ব্যবহার করা হয় এর শক্তি তার সমান এখনো এ নিয়ে কাজ চলছে কিন্তু এর ভবিষ্যৎ সম্ভবনা বিশাল।
৪. অপরিণত শিশুর মত্তিষ্ক শক্তিশালী করতে সৃষ্ট সঙ্গীত
আপনি হয়তো জানেন জন্মের আগেই সঙ্গীতের সাথে মানুষের সম্পর্ক তৈরি হয় গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভস্থ ভ্রূণকে সঙ্গীত শুনালে সেটা তার স্নায়ুতন্ত্রের তথ্য ও চিন্তা বিকাশের ক্ষমতা বাড়ায় কিছু বিজ্ঞানীর মতে সঙ্গীত খুবই অপরিণত ভ্রূণের মাথা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে দুরবল নবজাতকের মাথা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে এক সঙ্গীত রচয়িতার সাহায্য নিয়ে সুইজারল্যন্ডের ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের একদল গবেষক বিশেষ ভাবে একটি সঙ্গীত সৃষ্টি করেন বাঁশি তারযন্ত্র ও ঘন্টা ব্যবহার করে তৈরি এই সঙ্গীতের একটু অংশ প্রাথমিক স্ক্যনে দেখা যায় যেসব শিশুকে এসব শব্দ শুনানো হয়েছে তাদের মাথা ভালোভাবে পরিনত হয়ে উঠেছে। গত ২০ বছরে অনেক দেশেই গর্ভকাল পুরো হবার আগেই শিশু জন্মাচ্ছে বেশি।