দেশে ই-কমার্সের বাজার সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। পাঁচ বছরে বেড়েছে ৩০ গুণ। উদ্যোক্তাদের আশা ২০২৩ সালের মধ্যে এর আকার ২৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তবে এর টেকসই প্রসারে ভোক্তার আস্থা অর্জনই বড় চ্যালেঞ্জ উদ্যোক্তাদের সামনে। সেই সাথে নিশ্চিত করতে হবে মানসম্মত এবং স্বল্পমূল্যের ইন্টারনেট, দক্ষ জনশক্তি এবং পর্যাপ্ত ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম। মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত সেমিনারে এসব বিষয় উঠে আসে । বিলাস পণ্য থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য সবই এখন পাওয়া যায় অনলাইনে । ঝামেলা এড়িয়ে কেনা যায় ঘরে বসে সাশ্রয় হয় সময়ের তাই দ্বীন দ্বীন জনপ্রিয়তা বাড়ছে অনলাইন কেনা বেচা বা ই-কমার্স এর । এমন চাহিদাকে পুজি করে দেশে গড়ে উঠেছে আরাই হাজারের বেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান । প্রতিদিন ৩০ হাজারের বেশি পণ্য তারা পৌঁছে দিচ্ছে গ্রাহকের কাছে । যার মাধ্যমে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বিগত এক বছরে ২০১৬ সালে যা ছিল মাত্র ৫ হাজার ৬০ কোটি টাকা তার মানে বগদ ৫ বছরে যা বেড়েছে ৩০ গুন এর ও বেশি । বেসিস এর সভাপতি সৈয়দ আলামাস কবির বলেছে এই লকডাউন কিংবা ই-কমার্স ক্ষেত্রে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বেশি বিক্রি হয়েছে যা কিনা প্রায় আর ৩-৪ বছর পরে হওয়ার কথা ছিল । আবার এদিকে ই-কমার্স এর বড় একটি অংশ গড়ে উঠেছে ফ্যাশন পণ্যকে ঘীরে । অনলাইনে ৫০০০ কোটি টাকার ফ্যাশন পণ্য বেচাকেনা হয় এদিকে ইলেক্ট্রোনিক মালামাল এর বাজার ৩৯০০ কোটি টাকা । ফার্নিচার ও ঘর সাজানো পণ্য এর দখলে আছে ১৭০০ কোটি টাকার মতো । অনলাইনে খেলনা আর সৌখিন পণ্য বিক্রি হয় ২২১০ কোটি টাকার মতো । এর বাহিরের এফ কমার্স এর বাজার ও ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে । যার সাথে জড়িত ৩ লাখের চেয়ে বেশি লোক । কিন্তু গ্রাহকদের অসুন্তস্টি থেকে যাচ্ছে ই-কমার্স বা এফ কমার্স দুই জায়গাতেই । কিন্তু অনলাইনে সেল এর নিয়ম হলো প্রোডাক্ট এর কোয়ালিটি থাকতে হবে ডেসক্রিপশন এ যা দিয়েছি যা প্রোডাক্ট এ থাকতে হবে কিন্তু এগুলা না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে । অনেকেই বলছেন ২০২৩ সালের মধ্যে ই-কমার্স এর বাজার ২৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে । তবে এই জন্য খাতটির টেকসই ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরী ।